ঢাকার ধামরাইয়ে হঠাৎ করেই আইনশৃঙ্ক্ষলার চরম অবনতি দেখা দিয়েছে। সুয়াপুর ইউনিয়নের ফুলতলা বাজারে চায়ের দোকানে প্রকাশ্যে সোহাগ হোসেন (৩০) নামে এক যুবকের গলায় ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। অপরদিকে কুলস্না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান বাড়িতে ধরে নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় হাশেম নামে এক যুবকের পা ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছেন। তারা দুইজনই হাসপাতালে মৃতু্যর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দুপুরে।
জানা গেছে, ধামরাইয়ের সুয়াপুর ইউনিয়নের বানিশনগর গ্রামের হানিফ আলীর সঙ্গে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল আহত সোহাগের। দুপুরে ফুলতলা বাজারের রাজিব হোসেনের চায়ের দোকানে চা পান করতে বসেছিলেন সোহাগ। এমন সময় হানিফ তার বন্ধু রবিনসহ কয়েকজন ওই চায়ের দোকানে যান। এ সময় অতর্কিতভাবে রবিন সোহাগের গলায় ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন তার বোন সোহাগী। এদিকে ঘটনার পরই রবিন, হানিফসহ অন্যরা এলাকা থেকে পালিয়েছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। আহত সোহাগের স্ত্রী রাশেদা আক্তার জানান, থানায় অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে, রহস্যজনক কারণে কুলস্না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান খাতরা গ্রামের যুবক হাশেম আলীকে বাড়িতে ধরে নিয়ে লোকজন দিয়ে ব্যাপক মারধর করেছেন। এতে হাশেম আলীর পা ভেঙে কয়েক খন্ড হয়েছে বলে তার ভাই রাহিম আলী ও জাহিদ আলী জানান। তিনি বর্তমানে ধামরাই সদর হাসপাতালে মৃতু্যর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন বলে জানান স্ত্রী হোসনে আরা বেগম। আহত যুবকের পরিবার চেয়ারম্যানের বিচার দাবি করেন। পৃথক দুই ঘটনায় ধামরাই থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে জানান ধামরাই থানার ওসি অপারেশন মোমেনুল ইসলাম।