কুড়িগ্রামে হতে যাচ্ছে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল

প্রকাশ | ১০ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামে বাংলাদেশ ও ভুটান সরকারের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। জি-টু-জি ভিত্তিক প্রস্তাবিত 'ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল' স্থাপনের সম্ভাবনা যাচাই করতে ভুটানের একটি প্রতিনিধি দল রোববার দুই দিনের সফরে কুড়িগ্রাম আসছেন বলে জানা গেছে। জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙা ইউনিয়নের মাধবরাম মৌজার অন্তর্ভুক্ত ১৩৩.৯২ একর খাস জমি বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষকে (বেজা) হস্তান্তর করেছে জেলা প্রশাসন। ধরলা ব্রিজের পূর্ব প্রান্তে সৈয়দ ফজলুল করিম (রহ.) জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার উত্তর-পূর্ব দিকে এই খাস জমির অবস্থান। প্রয়োজনে ওই স্থানে আরও জমি অধিগ্রহণেরও সুযোগ রয়েছে। আর এই অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশ-ভুটানের ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরু দৃঢ় হবে এবং জেলার সোনাহাট স্থলবন্দরের কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে। এতে জেলার মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি ঘটবে। এদিকে ২০২৩ সালের মে মাসে লন্ডনে ভুানের রাজা ও রানীর সঙ্গে এক দ্বিপক্ষীয় সভায় কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে ভুটান সরকারের একটি প্রতিনিধি দল আজ কুড়িগ্রাম সফরে আসছেন। চার সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েনসিল। বেজা'র নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন ভুটানের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে থাকবেন বলে জানা গেছে। তারা প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থানসহ সোনাহাট স্থলবন্দর ও চিলমারী নৌবন্দর পরিদর্শন করবেন। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার মিজানুর রহমান বলেন, 'আমরা প্রাথমিকভাবে ১৩৩.৯২ একর খাস জমি বেজা'র কাছে বন্দোবস্ত দিয়েছি। ব্যক্তি মালিকানাধীন আরও ৮০ একর জমি অধিগ্রহণের পরিকল্পনা রয়েছে।' কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুশফিকুল আলম হালিম বলেন, কুড়িগ্রাম জেলার বৃহৎ এলাকা চরাঞ্চল। এই অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়নের জন্য জেলায় কলকারখানা প্রয়োজন। এখান থেকে যেহেতু ভুটান অনেক কাছে, সেহেতু দেশটির সঙ্গে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে পারলে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দ্রম্নত বাড়বে। মানুষের সক্ষমতাও বাড়বে এবং আগের চেয়ে ভালো জীবনযাপন করতে পারবে। সরকার সে লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছে। কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, কুড়িগ্রামের সঙ্গে ভারত ও ভুটানের কানেক্টিভিটি বেশ ভালো। কুড়িগ্রামের দুটি স্থলবন্দর ও চিলমারী নৌবন্দরের সঙ্গে ভুটানে যোগাযোগ সুবিধা রয়েছে। বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল, কাঁচামাল তৈরির সম্ভাবনা এবং মানবসম্পদ মিলিয়ে কুড়িগ্রামে যৌথ অর্থনৈতিক অঞ্চল হলে এই অঞ্চলের মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার ব্যাপক উন্নতি হবে বলে সরকার মনে করছে।