সাতক্ষীরার দেবহাটা, ঝালকাঠি ও বাগেরহাটের ফকিরহাটে হত্যা-আত্মহত্যা এবং বিু্যৎস্পৃষ্ট হয়ে গৃহবধূসহ তিনজনের মৃতু্য হয়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত-
দেবহাটা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি জানান, সাতক্ষীরার দেবহাটায় সাইমা খাতুন (১৮) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া গ্রামের আব্দুস সবুরের ছেলে তানজিন ইসলামের (২৪) স্ত্রী। সাইমার বাবার বাড়ি কালীগঞ্জ উপজেলার ধলবাড়িয়া মৌখালি গ্রামে। শ্বশুর আব্দুস সবুর পরিচালিত পারুলিয়া জামিয়া ইসলামিয়া ফয়জুল উলুম মহিলা মাদ্রাসায় পড়াশুনাকালীন গত ৬-৭ মাস আগে পারিবারিকভাবে সাইমা ও তানজিনের বিয়ে হয়।
শনিবার রাত দেড়টার দিকে ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে সাইমার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় তার স্বামী তানজিন ইসলামকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
সাইমার মা রাবেয়া খাতুন জানান, 'রাত ১২টার দিকে মেয়ে সাইমা গুরুতর অসুস্থ উলেস্নখ করে বেয়াই আব্দুস সবুর তাদের ফোন করেন। ঘন্টাখানেক পর তারা মেয়ের শ্বশুরবাড়ি গিয়ে তাকে মৃত অবস্থায় দেখেন। হঠাৎ অসুস্থতার কারণে সাইমার মৃতু্য হয়েছে বলে সেসময় তাদের জানান শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পরে পুলিশের জিঞ্জাসাবাদে জামাতা তানজিন তার মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। এঘটনায় সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন তিনি।
সাইমার শ্বশুর আব্দুস সবুর জানান, জিনের আছর থাকায় মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত ছিলেন ছেলে তানজিন ইসলাম। শুক্রবার তানজিন উন্মাদ হয়ে উঠলে ঝাড়-ফুকের জন্য আশাশুনি থেকে গুনিন আব্দুস সেলিমকে বাড়িতে ডাকেন। স্বাভাবিক হওয়ার পর ছেলে তানজিন ও পুত্রবধূ সাইমা একত্রে ঘুমাতে গিয়েছিলেন। আর গুনিন আব্দুস সালামকেও রাতে ওই বাড়িতে রাখা হয়েছিল। রাত ১২টার দিকে ছেলে তানজিনের ডাকে ঘুম থেকে উঠে পুত্রবধূ সাইমাকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান তারা। পরে সাইমার মৃতু্য নিশ্চিত হয়ে বেয়াইয়ের বাড়িতে ফোন করেন।
দেবহাটা থানার ওসি সেখ মাহমুদ হোসেন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গলা চেপে শ্বাসরোধ করে স্ত্রী সাইমা খাতুনকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন তানজিন হোসেন। সাইমার গলা ও শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ঝালকাঠি প্রতিনিধি জানান, ঝালকাঠির নলছিটিতে ট্রাকের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আলতাফ হোসেন মোলস্না (৬৫) নামের এক মানসিক ভারসাম্যহীন বৃদ্ধের মৃতু্য হয়েছে। শনিবার উপজেলার সিদ্ধকাঠি ইউনিয়নের ফুলতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আলতাফ ফুলহরী গ্রামের মৃত ওয়াজেদ আলী মোলস্নার ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুরাদ আলী।
ফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি জানান, বাগেরহাটের ফকিরহাটে বিদু্যৎস্পৃষ্ট হয়ে মো. লুৎফর শেখ (৫২) নামের এক কৃষকের মৃতু্য হয়েছে। উপজেলার নলধা-মৌভোগ ইউনিয়নের কামটা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত লুৎফর শেখ কামটা গ্রামের মৃত আ. মজিদ শেখের ছেলে।
পুলিশ জানায়, শনিবার লুৎফর কামটার বিল থেকে ঘাষ কেটে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় হাত ধোয়ার জন্য তিনি একটি গর্তে নামেন। সেখানে আশ্বাব আলী নামের এক ব্যক্তির জমিতে পানি দেওয়ার জন্য মটর বসানো ছিল। সেই মটরের জোড়া তারে অসতর্কতাবসতঃ লুৎফর শেখের হাত লাগলে তিনি বিদু্যতায়িত হন। স্থানয়ীরা টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।