যত্রতত্র অবৈধ পার্কিং ফটিকছড়ি বিবিরহাট বাজারের যানজটে ভোগান্তি চরমে
প্রকাশ | ০৯ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
ফটিকছড়ি পৌর সদর বিবিরহাট বাজারের ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে মোটর সাইকেল এবং ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার অবৈধ পার্কিং। বিবিরহাট বাজারের দরগাহ রোড, কলেজ রোড, বাসস্ট্যান্ড মোড়, ১নং ও ২নং সড়কের একপাশ মোটর সাইকেল অবৈধ পার্কিং দখল করে নেয় প্রতিনিয়ত। আসন্ন পবিত্র মাহে রমজান মাসের বাজার করতে আসা মানুষ যানজটে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এসব অবৈধ পার্কিংয়ের জন্য। প্রতিনিয়ত এ অবস্থা চললেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। প্রতি সপ্তাহে দুইদিন বৃহস্পতিবার ও সোমবার বাজার বসে। বাজারে গরু-ছাগল বেচাকেনা হয়, গরু নিয়ে বড় বড় ট্রাক বাজারের ভিতরে প্রবেশ করে। এতে যানজটের দুর্ভোগ আরও ভয়ংকর রূপ নেয় ওই দুইদিন।
বুধবার সরেজমিন দেখা গেছে, ফটিকছড়ি কলেজ রোড, মীর জাহানারা কমপেস্নক্স, ইসলামী ব্যাংক, জনতা মার্কেট (হক মার্কেট), এ. কে সেন্টার মোটর সাইকেল অবৈধ পার্কিং করে রেখেছে। এর ফলে রাস্তা অত্যন্ত সরু হয়ে যায়। বিপরীত দিক থেকে গাড়ি এলে চরম যানজট সৃষ্টি হয়। ৫ মিনিটের রাস্তা অতি যানজটের কারণে সময় ১ ঘণ্টাও লেগে যায়।
বিবিরহাট বাজারে আসা ছোট বাচ্চাসহ এক মহিলা বলেন, 'মানুষ চলাচলের জায়গায় মোটর সাইকেল পার্কিং করে রেখেছে। ভয়ে ভয়ে পথ চলতে হয় রাস্তার মাঝখানে। ব্যাটারিচালিত রিকশার ধাক্কা খেয়েছি দুই জায়গায়।' বিবিরহাটে বাজার করতে এলেই এই দুর্ভোগে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ি।
সিএনজি চালক মোহাম্মদ ফারুক বলেন, 'যানজটের ভয়ে বাজারের ভিতরে গাড়ি নিয়ে যেতে ইচ্ছে করে না। দীর্ঘক্ষণ সময় লেগে যায়। তাই আমরাও যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি টাকা আদায় করতে হয়।'
এ ব্যাপারে ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, 'আমরা মোবাইল কোর্ট চালাতে পারি। তবে পৌরসভার অভ্যন্তরে পৌরসভা চাইলে কমিউনিটি পুলিশের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে পারে।'
এ ব্যাপারে ফটিকছড়ি পৌরসভার মেয়র ইসমাইল হোসেন বলেন, 'এর বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব। প্রতিবছরের মতো এবারও তার অনুরূপভাবে কাজ করব।'