শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১

কেঁচো সার উৎপাদনে স্বাবলম্বী শেরপুরের মঞ্জুরুল

তপু সরকার হারুন, শেরপুর
  ০৯ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
কেঁচো সার উৎপাদনে স্বাবলম্বী শেরপুরের মঞ্জুরুল

অনেকটা শখের বশে ২০২৩ সালের শুরুতে ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার উৎপাদন শুরু করেছিলেন শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী উপজেলার কুড়ি-কাহনিয়া ইউনিয়নের ইন্দিলপুর গ্রামের কুষক মঞ্জুরুল হক।

প্রথমে এক লাখ ১৭ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে প্রথমেই ৩০টি চাড়িতে পরীক্ষামূলকভাবে কেঁচো সার উৎপাদন শুরু করেন তিনি। এক বছরের ব্যবধানে তিনি এখন প্রায় ১০০ মেট্রিক টন কেঁচো ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন করেন। আর এতে তার কুষক আয় হচ্ছে প্রায় চার লাখ টাকা। কৃষক মঞ্জুরুল হক জানান, কেঁচো সারের বিষয়ে প্রথম জানতে পারেন স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে। তিনি নিজস্ব পাটক্ষেতের জমি প্রস্তুত করার সময় ব্যবহার করেন কেঁচো ভার্মি কম্পোস্ট সার। এতে খরচ যেমন কম লাগে, তেমনি ফলনও ভালো হয়।

তখন ভাবলেন, কেঁচো সার না কিনে, নিজে তৈরি করলেই খরচ অনেক কমে যাবে। যেমন ভাবনা তেমন কাজ। ছুটে গেলেন শ্রীবর্দী উপজেলার কৃষি কর্মকর্তার অফিসে। পরে উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির দিলদারের পরামর্শক্রমে ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার উৎপাদন শুরু করেন।

তিনি আরও বলেন, কেঁচো সার তৈরিতে তেমন কোনো ঝামেলা নেই। একটি নির্দিষ্ট চাড়ি বা চৌবাচ্চায় গোবরের মধ্যে কেঁচো রেখে দিলেই হয়। প্রায় ৪০ দিন পরে কেঁচো সব গোবর খেয়ে উপজাত হিসেবে সার তৈরি করে। এক বস্তা গোবর থেকে প্রায় ১৫ কেজি কেঁচো সার তৈরি হয়।

এ অঞ্চলের কৃষকেরা এ সার উৎপাদনের মাধ্যমে ক্ষুদ্র কৃষক ও দরিদ্র পরিবারে ফিরেছে সচ্ছলতা। কেঁচো সার ব্যবহারে কৃষকদের ইতিবাচক সাড়াও মিলছে বলে জানায় উপজেলা কৃষি বিভাগ।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা উসমান গনি বলেন, 'কেঁচো সার উৎপাদন শিখে এখন ভালোই লাভ হচ্ছে মঞ্জরুল হকের। আশপাশের গ্রামের লোকজনও এসে কেজি হিসেবে কিনে নিচ্ছে। পরিবেশবান্ধব ও বিষমুক্ত ফসল উৎপাদন হওয়ায় স্থানীয় লোকজনের এ সারের প্রতি আগ্রহ বেশি।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে