বাঁশখালীতে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ৮ ইউপি সদস্যের অনাস্থা
প্রকাশ | ০৮ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আসহাব উদ্দীনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে ৮ জন ইউপি সদস্য অনাস্থা প্রস্তাব দিয়েছেন। বুধবার বিকালে ইউপি সদস্যরা দ্রম্নত চেয়ারম্যান মো. আসহাব উদ্দীনের অপসারণের দাবি জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন আক্তার বরাবর এ লিখিতভাবে অনাস্থা প্রস্তাব দেন।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, 'চেয়ারম্যান আসহাব উদ্দীনের বিরুদ্ধে নামে-বেনামে বহিরাগতদের জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদান ও ভোটার হতে সহযোগিতা করা, আনুমানিক প্রায় ২৬০০ নতুন ভোটারের প্রতিজন থেকে ৬০০ টাকা হারে আনুমানিক ১৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ, পুকুরিয়া ৫নং ওয়ার্ডের ওমর আলী সড়কের ইট আত্মসাৎ, পরিষদের সদস্যদের না জানিয়ে বিভিন্ন নামে-বেনামে প্রকল্প দিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করা, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী হতে বরাদ্দকৃত সাবমার্সিবল পাম্প ইউপি সদস্যদের না জানিয়ে সরকারি নিয়ম না মেনে পছন্দের ব্যক্তিকে দিয়ে স্বজনপ্রীতি করা, ট্রেড লাইসেন্স, বিভিন্ন প্রত্যয়নপত্র, বিভিন্ন ছাড়পত্র হতে আদায়কৃত অর্থ আত্মসাৎ করা, বিভিন্ন সভার স্বাক্ষর জাল করে রেজুলেশান করা, প্যানেল চেয়ারম্যান গঠন না করা, সদস্যদের না জানিয়ে বিভিন্ন কমিটি করা, ইউনিয়ন উন্নয়ন ফান্ড তহবিলের প্রকল্প টেন্ডার প্রক্রিয়া ছাড়া নিজের পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করা, ইউপি সদস্যদের সঙ্গে অসদাচারণ ও গালিগালাজ করা, আবেদনের ছয় মাস পরেও যাবতীয় আয়-ব্যয় এর হিসাব না দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়।
এসব ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ইউপি সদস্য মনির উদ্দীন, রয়ন জন্নাত, মোহাম্মদ এমদাদ উলস্নাহ, মোহাম্মদ ইউনুছ, হাবিবুর রহমান, আমজাদ হোসেন, মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান, মামুনুর রশীদ অনাস্থা দিয়েছেন। তারা অবিলম্বে চেয়ারম্যান আসহাব উদ্দিনের অপসারণের দাবি জানান। এ বিষয়ে বাঁশখালী উপজেলার ১নং পুকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য রয়ন জান্নাত বলেন, 'চেয়ারম্যান আসহাব উদ্দীনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ইউএনও-র কাছে আমরা অনাস্থা প্রস্তাব দিয়েছি। ইউপি সদস্যদের সঙ্গে অসদাচারণ ও গালিগালাজ করাসহ প্রতিদিনই নানা অনিয়ম করে যাচ্ছেন তিনি।'
এ ব্যাপারে পুকুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আসহাব উদ্দিন বলেন, 'সব কিছু মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। তারা আগেও এসব করেছে। এলাকায় গিয়ে দেখুন কোনো কিছুরই সত্যতা পাবেন না। সব কিছু ষড়যন্ত্র করে করছে, যাতে আমার সম্মান ক্ষুণ্ন হয়।'