নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলায় শিউলি আক্তার নামে এক গৃহবধূকে মোবাইল চার্জারের তার পঁ্যাচিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ঘাতক স্বামী রুবেল রানার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি গত সোমবার উপজেলার কৃষ্ণপুর হিন্দুপাড়া গ্রামে ঘটেছে। ঘাতক স্বামী রুবেল রানা মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলার সাত গ্রামের বাহাদুর মিয়ার ছেলে।
ঘটনার পরপরই নিহত গৃহবধূর মা রাখি বেগম মনোহরদী থানায় হত্যা মামলা করেন। এ হত্যাকান্ডের পর থেকে স্বামী রুবেল রানা পলাতক ছিলেন। তবে ২৪ ঘণ্টা পেরোতেই মনোহরদী থানা পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় ঘাতক রুবেল রানাকে মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, আনুমানিক ৫-৬ বছর আগে শিউলি আক্তার জীবিকার সন্ধানে সৌদি আরবে যান। কাজের সুবাদে সেখানে রুবেল রানার সঙ্গে পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেম ও পরবর্তীতে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। গত দেড় বছর আগে রুবেল স্ত্রী শিউলিকে নিয়ে বাড়িতে আসেন।
গত ৬ মাস যাবত রুবেল শিউলির বাবার বাড়ি মনোহরদীতে বসবাস করতেন। রুবেল শশুরবাড়ি থেকে বিদেশে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এ কারণে তাদের মধ্যে প্রায় ঝগড়া হতো।
মনোহরদী থানার ওসি আবুল কাশেম ভূঁইয়া বলেন, এ ঘটনায় নিহতের মা রাখি বেগম বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেছেন। হত্যাকান্ডের ২৪ ঘণ্টা পেরোতে না পেরোতেই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।