তিন জেলায় আরও তিন লাশ উদ্ধার
মনোহরদীতে নলকূপ স্থাপনকালে বিদু্যৎস্পৃষ্টে দুই ভাইয়ের মৃতু্য
প্রকাশ | ০৮ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
স্বদেশ ডেস্ক
নরসিংদীর মনোহরদীতে গভীর নলকূপ স্থাপনকালে বৈদু্যতিক তারে স্পৃষ্ট হয়ে দুই ভাইয়ের মৃতু্য হয়েছে। অন্যদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে নিখোঁজের এক দিন পর বৃদ্ধার রক্তাক্ত মরদেহ ও ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে নির্মাণ শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার এবং বাগেরহাট কারাগারে আবারও হাজতির মৃতু্যর খবর পাওয়া গেছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত-
মনোহরদী (নরসিংদী) প্রতিনিধি জানান, নরসিংদীর মনোহরদীতে গভীর নলকূপ স্থাপনকালে বৈদু্যতিক তারে স্পৃষ্ট হয়ে দুই ভাইয়ের মৃতু্য হয়েছে। গত বুধবার উপজেলার শুকুন্দী ইউনিয়নের গাছুয়ারকান্দা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। তারা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের গভীর নলকূপ স্থাপন কাজের শ্রমিক ছিলেন। নিহত দুই ভাই রুবেল (৩০) ও রাকিবুল হাসান (১৮) পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার উত্তর রানীপুর গ্রামের মৃত সোহরাব হোসেনের ছেলে।
জানা যায়, উপজেলার গাছুয়ারকান্দা গ্রামের অহিদ মিয়ার বাড়িতে নলকূপ স্থাপনের কাজ করছিলেন রুবেল মিয়া, রাকিবুলসহ ১০-১২ জন শ্রমিক। সকালে নলকূপের লোহার পাইপ বসানোর সময় অসাবধানতাবশত বৈদু্যতিক তারের সঙ্গে জড়িয়ে বিদু্যতায়িত হন একসঙ্গে দুই ভাই। বাড়ির লোকজন তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি জানান, নিখোঁজের এক দিন পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় রোকেয়া বেগম-(৬৫) নামে এক বৃদ্ধার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের ধারণা এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড।
বৃহস্পতিবার উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের বিষ্ণুতারা গ্রামের তার নিজ বাড়ির পাশে কিচ্ছালডি খালের পাড় থেকে এই লাশ উদ্ধার করা হয়। রোকেয়া বেগম ওই গ্রামের পশ্চিম পাড়া বড় বাড়ির আবুল কালামের স্ত্রী।
নিহতের ভাতিজা ইয়াকুব আলী বলেন, 'বুধবার বিকাল থেকে আমার চাচিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমরা ধারণা করেছি, হয়ত মেয়ের বাড়িতে গিয়েছেন। তাই তেমন খোঁজাখুঁজি করিনি। সকালে খবর পাই, খালের পাড়ে রক্তাক্ত অবস্থায় তার লাশ পড়ে আছে।
সরাইল থানার ওসি এমরানুল ইসলাম বলেন, তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড।
গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি জানান, ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে সাঁতরে ব্রহ্মপুত্র নদ পাড় হতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া ফাহিম হাসান-(১৮) নামে এক নির্মাণ শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পুলিশ বুধবার রাতে মরদেহটি ব্রহ্মপুত্র নদের হালিমাবাদ এলাকা থেকে উদ্ধার করে। নিহত ফাহিম গফরগাঁওয়ের পাঁচবাগ ইউনিয়নের তারাটিয়া গ্রামের উজ্জ্বল মিয়ার ছেলে। পেশায় একজন নির্মাণ শ্রমিক। এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার নাক কাটাচরে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে নৌকা না পেয়ে সহযোগী আমাটিয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর ও আহাম্মদের সঙ্গে সাঁতরে নদী পার হচ্ছিলেন। এ সময় হালিমাবাদ (গলাকাটা) বাজার ঘাট এলাকায় ডুবে যান ফাহিম। অবশেষে দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা অভিযানের পর রাত সাড়ে ৯টার দিকে হালিমাবাদ (গলাকাটা) বাজার ঘাট এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
বাগেরহাট প্রতিনিধি জানান, বাগেরহাট জেলা কারাগারে থাকা সেলিম শেখ (৪৫) নামের আরও একজন হাজতির মৃতু্য হয়েছে। গত মঙ্গলবার তার মৃতু্য হয়। মৃত হাজতি জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার কাঠালতলি গ্রামের হাসেম আলী শেখের ছেলে। তিনি একাধিক মাদক মামলার আসামি। গত ২৮ ফেব্রম্নয়ারি-২০২৪ থেকে মাদক মামলায় বাগেরহাট কারাগারে বন্দি ছিলেন।
বাগেরহাট জেলা কারাগারের জেলার আব্দুলস্নাহ আল আমিন বলেন, সেলিম শেখ মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তার মৃতু্য হয়।