চার জেলায় অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় চাঁদপুরে জাটকা ধরায় ২৯ জেলে আটক ও ২০ জনের কারাদন্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ, নওগাঁর বদলগাছী ও চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে দন্ড দেওয়া হয়। প্রতিনিধিদের পাঠানো বিস্তারিত খবর-
চাঁদপুর প্রতিনিধি জানান, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রমে জাটকা ধরায় ২৯ জেলেকে আটক করেছে জেলা টাস্কফোর্স। এ সময় জব্দ করা হয় ৬টি মাছ ধরার নৌকা, ২০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ১৫ কেজি জাটকা। আটক জেলেদের মধ্যে ২০ জেলের ১ মাস করে কারাদন্ড, ৩ জনকে ১০ হাজার টাকা করে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় ৬ জনকে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার রাতে কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাকারিয়া হোসেন।
অভিযানে চাঁদপুর সদর উপজেলা মৎস্য দপ্তরের ক্ষেত্র সহকারী জামিল হোসেন, কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনের সিসি জাসিম উদ্দিন, নৌ পুলিশের উপ-পরিদর্শক জহির আহমেদ, কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশের সদস্যরা সার্বিক সহযোগিতা করেন।
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালকোল এলাকায় গ্রিন ল্যাব এন্ড হরমোন সেন্টারের লাইসেন্স না থাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বুধবার সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. রাম পদ রায়ের নেতৃত্বে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
এছাড়া দুটি হাসপাতালকে বিভিন্ন অনিয়মের কারণে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। চার্টে লিখিত মূল্যের চাইতে বেশি মূল্য নেওয়াসহ নানা অভিযোগে শহরের সেবা জেনারেল হাসপাতালকে ২০ হাজার টাকা ও শিয়ালকোলে আলেয়া জেনারেল হাসপাতালকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. রাম পদ রায়, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাকিবুল ইসলাম, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসের এমওসিএস রিয়াজুল ইসলাম প্রমুখ।
বদলগাছী (নওগাঁ) প্রতিনিধি জানান, নওগাঁর বদলগাছীতে দুই লাখ টাকা জরিমানা দিতে না পাড়ায় ৩ মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। উপজেলার কোলা ইউনিয়নের ঝাড়ঘরিয়া গ্রামের সাইদুল ইসলামের ছেলে আবুল কালাম আজাদ সাজুকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ভেকু মেশিন দিয়ে অবৈধ্যভাবে জমিতে মাটি কাটার অপরাধে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। টাকা দিতে না পারায় ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ৩ মাসের সশ্রম কারাদন্ড দেন। গত ৫ মার্চ ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৃপ্তি কণা মন্ডল এ রায় দেন।
ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি জানান, চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে ইট প্রস্তুত করার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় এবং অন্য অনিয়মের অভিযোগে শাহ আমানত ব্রিকস এবং প্রগতি ব্রিকসকে ৩ লাখ টাকা করে ৬ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বুধবার উপজেলার নানুপুর গামরীতলা এলাকায় শাহ আমানত ব্রিকস ম্যানু. এবং প্রগতি ব্রিকস ম্যানু. নামক ইটভাটার বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় উপজেলা প্রশাসনের এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন ইউএনও মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
এ ব্যাপারে ইউএনও মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন- এ ধরনের মোবাইল কোর্ট ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে।