জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মেলন শুরু হচ্ছে শুক্রবার

প্রকাশ | ০৭ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
বুধবার দুপুরে ধানমন্ডির ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ -যাযাদি
দেশের সাত শতাধিক শিল্পী, সংস্কৃতিকর্মীর অংশগ্রহণে জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের ৪২তম সম্মেলন শুরু হতে যাচ্ছে। 'নিশিদিন ভরসা রাখিস, ওরে মন, হবেই হবে' রোধনসঙ্গীতের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার প্রধান মিলনায়তনে তিন দিনের এ সম্মেলন শুরু হবে শুক্রবার সকাল ১০টায়। বেলা ১১টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার। এবার উদ্বোধনী অধিবেশনে গাজায় ইসরাইলের বর্বর গণহত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে মনুষ্যত্বের জয়গান করা হবে। থাকবে আরও বৈচিত্র্যময় আয়োজন। বুধবার বেলা ১২টায় ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনের রমেশচন্দ্র দত্ত স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের এক সংবাদ সম্মেলনে এবারের আয়োজন সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। লিখিত বক্তব্যে পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'এবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের ৪২তম অধিবেশন। এতে ঢাকাসহ সারা দেশের সম্মিলন পরিষদের ৮২টি শাখার সাত শতাধিক শিল্পী, সংগঠক ও সংস্কৃতিকর্মী অংশ নেবেন।'সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ৪২তম সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। এবার শিল্পগুরু মুস্তাফা মনোয়ারকে রবীন্দ্রপদক প্রদান করে সম্মাননা জানানো হবে। সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের নির্বাহী সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক আতিউর রহমান বলেন, 'সংগঠনের সভাপতি সঙ্গীতজ্ঞ সন্‌জীদা খাতুনের পরামর্শ নিয়ে পরিষদের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তারা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বহুমাত্রিক কাজ ও ভাবাদর্শ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার রূপরেখায় তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। সম্মিলন পরিষদ এখন প্রতিবছর ঢাকা ও ঢাকার বাইরে যেসব জাতীয় সম্মেলনের আয়োজন করছে, তা রবীন্দ্রসঙ্গীত নিয়ে দেশের সবচেয়ে বড় আয়োজনে পরিণত হয়েছে।' তিনি বলেন. 'রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কেবল বাংলার কবি নন, তিনি ছিলেন বিশ্বকবি। বিশ্বমানবতার কল্যাণ ও সংকট নিয়ে তিনি ভেবেছেন। সে কারণে এবার ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের বর্বর হামলার প্রতিবাদ করা হবে। এটা এবারের সম্মেলনের বড় সংযোজন।' রোববার (১০ মার্চ) সমাপনী অধিবেশন সকাল ৯টায় শুরু হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। পরে থাকবে সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে সনদ ও পুরস্কার প্রদান। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় থাকবে প্রদীপ প্রজ্বলন, আবৃত্তি ও স্‌ঙ্গীতানুষ্ঠান।