জন্ম ও মৃতু্যসনদ পেতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলাবাসী। রেজিস্ট্রেশন হওয়ার পর সনদ হাতে পেতে মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
ফলে ভোগান্তি আর হয়রানির কারণে সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে জন্ম ও মৃতু্য নিবন্ধনের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের হরহামেশা বাকবিতন্ডা হচ্ছে। সার্ভার জটিলতার কারণে এ দুর্ভোগ জানিয়েছেন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে নিয়োজিত উদ্যোক্তারা।
এ অবস্থায় অনেকেই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি, জমি রেজিস্ট্রি, পেনশন, পাসপোর্টসহ বিভিন্ন কাজ করতে পারছেন না। বিষয়টি নিয়ে বিব্রত জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসন।
থানাহাট ইউনিয়নের বড়কুষ্টারী এলাকার আব্দুর রহিম বলেন, 'মৃতু্য সনদের জন্য একমাস ধরে ঘুরছি। সার্ভার জটিলতার কথা বলে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।' একই অভিযোগ করেন গাবেরতল এলাকার নিজামুল ইসলাম উজ্জ্বল। তিনি দুই মাস ধরে মৃতু্য নিবন্ধনের জন্য ধরনা দিচ্ছেন।
ইউনিয়নটির উদ্যোক্তা নুর আমিন বলেন, মৃতু্য নিবন্ধন করতে গেলে আগে ওই ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন করতে হয়। কিন্তু সার্ভার জটিলতায় নিবন্ধনের কাজ করা যাচ্ছে না। ফলে সেবা নিতে আসা ব্যক্তিদের সঙ্গে প্রায়ই বাকবিতন্ডা হচ্ছে। একই অবস্থা বিরাজ করছে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদেও।
রমনা মডেল ইউপি'র তথ্যসেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা জাহাঙ্গীর আলম ভুট্টু বলেন, সার্ভার জটিলতায় নিবন্ধনের কাজ করা যাচ্ছে না। গত কয়েক মাস ধরে এভাবেই চলছে। উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের তথ্যমতে নিবন্ধন জটিলতায় এ পর্যন্ত পরিষদগুলোতে প্রায় ৫শ'র মতো নিবন্ধন আটকা পড়ে আছে।
এ ইউপি'র চেয়ারম্যান গোলাম আশেক আকা বলেন, জন্ম-মৃতু্য নিবন্ধন করতে গিয়ে সার্ভার জটিলতায় বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হচ্ছে। এ পর্যন্ত তার ইউপিতে প্রায় দেড়শ'র মতো কাজ আটকা পড়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ জানিয়েও সমস্যা মিটছে না।