শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১

মেয়েকে ইভটিজিং:প্রতিবাদ করায় বাবাকে মারধর, থানায় মামলা

ভেদরগঞ্জ (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি
  ০৭ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
মেয়েকে ইভটিজিং:প্রতিবাদ করায় বাবাকে মারধর, থানায় মামলা

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলাধীন নারায়ণপুর ইউনিয়নের ইকরকান্দি গ্রামে মেয়েকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন বাবা মোহাম্মদ আলী। গত ২৫ ফেব্রম্নয়ারি বিকাল ৫টার সময় ইভটিজিংয়ের ঘটনাটি ঘটে। এরপর স্থানীয়রা তাদের ভেদেরগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করেন। মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে পাঁচ দিন ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এ ঘটনায় গত ২৮ ফেব্রম্নয়ারি ইভটিজিংয়ের শিকার হওয়া নারী হৃদয় মাদবর (২১) ও আবু কালাম মাদবর (৪৬) নামে দু'জনকে আসামি করে ভেদরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলার পর থেকেই আসামিরা পলাতক রয়েছেন। এখনো কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

ভুক্তভোগী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নারায়ণপুরের বাসিন্দা আবু কালামের ছেলে হৃদয় মাদবর সবসময় মোহাম্মদ আলীর মেয়ের জামা-কাপড় নিয়ে যেতেন এবং গোসল করার সময় লুকিয়ে উত্ত্যক্ত করত। গত ২৫ ফেব্রম্নয়ারি হৃদয়কে হাতেনাতে তারা ধরতে পারেন। কিন্তু হৃদয়ের বাবা আবু কালাম এতে মোহাম্মদ আলীর ওপরে চড়াও হন। এরপর হৃদয়সহ তিনি ওই মেয়ে ও তার বাবা মোহাম্মদ আলীকে মারধর করেন। এতে মোহাম্মদ আলী গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। স্থানীয়রা এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছেন।

ইভটিজিংয়ের শিকার হওয়া ভুক্তভোগী নারী বলেন, 'আমাকে প্রায় গোসল করার সময় হৃদয় উত্ত্যক্ত করত এবং আমার বিভিন্ন কাপড়চোপড় নিয়ে যেত। আমি হাতেনাতে ধরি বিধায় আমাকে ও আমার বাবাকে হৃদয়ের বাবা আবু কালাম এসে মারধর করেন। আমার বাবা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আমি এই ইভটিজিংয়ের বিচার চাই।'

স্থানীয় প্রতিবেশী ও প্রত্যক্ষদর্শী মায়া, নাসিমা, অপু হাওলাদার ও মুক্তা বলেন, 'হৃদয় প্রায় অনেকের বাড়িতে গিয়েই আশপাশ থেকে উঁকি দেয় এবং গোসল করার সময় তাকিয়ে থাকে। সেদিন মোহাম্মদ আলীর মেয়েকে ইভটিজিং করে। এ সময় তারা হাতেনাতে ধরায় আবু কালামসহ তার পরিবারের লোকজন মোহাম্মদ আলীর ওপর হামলা চালান। হৃদয় মোলস্নার বিচার হওয়া দরকার।'

মোহাম্মদ আলী বলেন, 'আমার মেয়েকে প্রায় উত্ত্যক্ত করত। এ বিষয়ে আমি একদিন ওর বাবা-মাকে জানিয়েছি। কিন্তু আবু কলাম আমাকে পাত্তা দেননি। ওইদিন আমার মেয়ে ও পুত্রবধূ হৃদয়কে হাতেনাতে ধরে ফেলে। পরবর্তী সময়ে আমি গিয়ে তাকে তার বাবার কাছে নেওয়ার জন্য চেষ্টা করি। এর মধ্যে তার বাবা আবু কালাম এসে আমাকে ও আমার মেয়েকে মারধর করে। আমি এর বিচার চাই।'

এ বিষয়ে ভেদেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিন্টু মন্ডল বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। মামলায় দু'জন আসামি করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে