শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১
প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রতিদ্বন্দ্বী তিন প্রার্থী

৯ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
  ০৭ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
৯ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন

আগামী ৯ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন। এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিন প্রার্থী। তারা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার দু'বারের সাবেক মেয়র হেলাল উদ্দিন (চশমা প্রতীক), জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল আলম এমএসসি (আনারস প্রতীক) এবং জেলা পরিষদের সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করা বিলস্নাল মিয়া-(ঘোড়া প্রতীক)।

জেলার ছয়টি সংসদীয় আসন, ৯টি উপজেলা, ৫টি পৌর সভা ও ১০০টি ইউনিয়ন নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ গঠিত। চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনে মোট ভোটার ১ হাজার ৩৮৪ জন। এর মধ্যে রয়েছেন নাসিরনগর উপজেলায় ১৭১ জন, সরাইল উপজেলায় ১১৯ জন, আশুগঞ্জ উপজেলায় ১০৪ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় ১৬১ জন, বিজয়নগর উপজেলায় ১৩০ জন, কসবা উপজেলায় ১৪৬ জন, আখাউড়া উপজেলায় ৮১ জন, নবীনগর উপজেলায় ২৮৮ ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ১৮৪ জন ভোটার।

প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই প্রার্থীরা জোরোশোরে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন। শহরে ও গ্রামের বিভিন্ন সড়ক ও বাজারে শোভা পাচ্ছে প্রার্থীদের পোস্টার। জেলা পরিষদের নির্বাচনে দলীয়ভাবে মনোনয়ন দেওয়া না হলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ থেকে হেলাল উদ্দিনকে দলের একক প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে সমর্থন দেওয়া হয়েছে।

বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী হেলাল উদ্দিন আওয়ামী লীগের একজন নিবেদিত প্রাণ। ছাত্রলীগের মাধ্যমেই রাজনীতিতে হাতেখড়ি হেলাল উদ্দিনের। তিনি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভায় দুই বার মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। হেলাল উদ্দিন চশমা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল আলম এমএসসি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি। তিনি জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। ৫ বছর চেয়ারম্যান থাকাকালে জেলার ৯ উপজেলাতেই উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করেছেন। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শফিকুল আলম এমএসসি জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকারের কাছে হেরে যান। উপ-নির্বাচনে শফিকুল আলম এমএসসি আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী বিলস্নাল মিয়ার রাজনৈতিক কোনো পদ-পদবি নেই। পেশা ব্যবসায়ী। বিলস্নাল মিয়া গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে আশুগঞ্জ উপজেলা থেকে সদস্য জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। আগামী ৯ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনে বিলস্নাল মিয়া সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান প্রার্থী হেলাল উদ্দিন বলেন, 'দল আমাকে সমর্থন দিয়েছে। আমি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।'

চেয়ারম্যান প্রার্থী শফিকুল আলম এমএসসি বলেন, চেয়ারম্যান থাকাকালে ৫ বছর জেলার সব উপজেলাতেই কাজ করেছেন। তিনি আগামী নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উলেস্নখ্য, ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদের নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেছিলেন। কিন্তু আল-মামুন সরকার দায়িত্বভার গ্রহণের পর এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই ২০২৩ সালের ২ অক্টোবর মারা যান। এতে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদটি শূন্য হয়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৯ মার্চ শনিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে