শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১
ব্যস্তময় গৌরীপুর-হোমনা সড়ক

পারাপারের প্রতিকার চেয়ে খুদে শিক্ষার্থীর আবেদন

তিতাস (কুমিলস্না) প্রতিনিধি
  ০৭ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
পারাপারের প্রতিকার চেয়ে খুদে শিক্ষার্থীর আবেদন

কুমিলস্নার গৌরীপুর-বাঞ্ছারামপুর ভায়া হোমনা সড়কটি ব্যস্তময় আঞ্চলিক মহাসড়ক হিসেবে পরিচিত। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গৌরীপুর মোড় থেকে বাঞ্ছারামপুর পর্যন্ত ৩১ কিলোমিটার সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন জেলার তিতাস, হোমনা, মেঘনা, মুরাদনগর ও বি.বাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার যাত্রীরা যাতায়াত করে থাকে। ব্যস্ততম এই সড়কটি সম্প্রতি সংস্কার করায় বেপারোয়াভাবে চলছে যানবাহন। ফলে প্রতিদিন উক্ত সড়কের কোনো না কোনো স্থানে দুর্ঘটনা ঘটছে।

বাতাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থী তানজিনা আক্তার (৫) গত ৮ ফেব্রম্নয়ারি ছুটির পর বাড়ি যাওয়ার পথে রাস্তা পারাপারের সময় নিহত হয়। এর পর থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ২৭ ফেব্রম্নয়ারি উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায়ও উক্ত সড়কের দুর্ঘটনা মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করা হয়। উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বৃহত্তম কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে গাজীপুর। এখানে গাজীপুর খান সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, তিতাস ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, গাজীপুর আজিজিয়া আলিম মাদ্রাসা, গাজীপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বড় গাজীপুর প্রি-ক্যাডেট স্কুল রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৩ হাজার শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে আসছে। যাদের অধিকাংশ প্রতিদিন গৌরীপুর-বাঞ্ছারামপুর ভায়া হোমনা সড়কটি পারাপার হতে হয়। এসব শিক্ষার্থীর নির্বিঘ্নে রাস্তার পারাপারের বিষয়টি উলেস্নখসহ দুটি স্থানে স্পিডব্রেকার ও জেব্রাক্রসিং নির্মাণের অনুরোধ করে গাজীপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী আনিকা জাহান প্রীতি ২৯ ফেব্রম্নয়ারি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি আবেদন জমা দেয়, যা ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

আনিকা জাহান প্রীতি জানায়, 'আমি ও আমার সহপাঠীরা অনেক ভয়ভীতি নিয়ে রাস্তা পারাপার হই। আমরা দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেও কোনো গাড়ি থেমে আমাদের রাস্তা পারাপারে সুযোগ দেয় না, বরং গাড়িগুলো বেশি বেশি হরণ দিয়ে দ্রম্নত চলে যায়। ইউএনও স্যারকে বলবেন, এখানে যেন স্পিডব্রেকার ও জেব্রাক্রসিং দেয়, যাতে আমরা সুন্দরভাবে স্কুলে আসতে পারি।'

গাজীপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুল হক সরকার বলেন, আমার বিদ্যালয়ে প্রায় ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। এদের অধিকাংশ সড়কটি ক্রস করে বিদ্যালয়ে ও বাড়িতে যেতে হয়। সড়কের যানবাহনগুলোও দ্রম্নতগতিতে চলাচল করে। ভয় তো কাজ করবেই। তবে এখানে স্পিডব্রেকার ও জেব্রাক্রসিং দেওয়া জরুরি।

গাজীপুর খান সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল বাতেন বলেন, বড় শিক্ষার্থীরা একটু সচেতন। তবে ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের জন্য সড়কটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। শুধু স্পিডব্রেকার নয়, যানবাহনগুলোর গতি নিয়ন্ত্রণেও প্রশাসনকে এগিয়ে আসতে হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হাসান বলেন, 'পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী আনিকা জাহান প্রীতির একটি আবেদন পেয়েছি। গৌরীপুর-বাঞ্ছারামপুর-হোমনা সড়কটি সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আওতাধীন। বিষয়টি জেলা সমন্বয় সভায় উত্থাপন করব।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে