শুকনা মরিচের চাহিদা মেটাচ্ছে যমুনা চরের লাল মরিচ
প্রকাশ | ০৭ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি
দেশের বিভিন্ন এলাকার শুকনা মরিচের চাহিদা মেটাচ্ছে সোনাতলার যমুনার চরের লাল মরিচ। বন্যা পরবর্তীতে জেগে ওঠা চরে মরিচ চাষের মাধ্যমে বন্য সময়ের কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে উঠে চরবাসীদের। মরিচ, ভুট্টা, বাদাম, পাটসহ অন্য অর্থকারী ফসল চাষের উর্বর জমি হিসেবে চরের জমি অন্যতম।
কৃষি বিভাগের দেওয়া তথ্যমতে, এ বছর চরাঞ্চলসহ উপজেলায় ৯১০ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষাবাদ হয়েছে। স্থানীয় জাতের মরিচ চাষের পাশাপাশি হাইব্রিড জাতের মরিচ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের।
তেকানী চুকাইনগর ইউনিয়নের পূর্ব তেকানী গ্রামের কৃষক আব্দুল বাকী বলেন, 'আমি সাড়ে ৩ বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছি। সেই সঙ্গে অন্য কৃষকদের কাছ থেকে লাল মরিচ ক্রয় করে শুকিয়ে বিক্রি করব। আমি প্রতিবছরই পাকা লাল মরিচ ক্রয় এবং শুকিয়ে শুকনা মরিচ বিক্রি করি।'
একই ইউনিয়নের ভেকিরতাইড় চরের কৃষক হারুন বলেন, 'আমার জমির মরিচ দেরিতে তুলি। এতে মরিচ জমিতেই পেকে লাল হয়। তারপর সে মরিচ তুলে রোদে শুকিয়ে বিক্রি করি। পাকা লাল মরিচ ১২ থেকে ১৫ দিন রোদে শুকালে ১০০ মণ মরিচ শুকিয়ে ২৫ মণ হয়। এখন লাল পাকা মরিচের বাজার দর ১৮শ' থেকে ২১শ' টাকা। শুকনা মরিচ ১৪ হাজার থেকে ২২ হাজার টাকা বিক্রি করা যায়। বাজার ভালো থাকলে আরও বেশি দামে বিক্রি করা যাবে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, 'সোনতলায় মরিচ চাষে ঐতিহ্য আছে। বিশেষ করে চরাঞ্চলের কৃষক তুলনামূলক বেশি চাষ করে এবং আর্থিকভাবে ব্যাপক লাভবান হচ্ছেন।
তারা সাধারণত কাঁচা মরিচ বিক্রির মাধ্যমে বাজারের চাহিদা মেটান। কিন্তু বাজার দর কমে গেলে তারা জমিতে মরিচ পাকানোর মাধ্যমে সংরক্ষণ করেন। পরবর্তীতে সেই মরিচ বেশি দামে বিক্র করে থাকেন। আমরা আশা করছি এবার প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকার পাকা লাল মরিচ বিক্রির সম্ভাবনা আছে।'