ভূঞাপুরে রাস্তা নেই, তবুও নির্মাণ হচ্ছে কোটি টাকার ব্রিজ!

প্রকাশ | ০৭ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে রাস্তা ছাড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে ব্রিজ -যাযাদি
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে রাস্তা ছাড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কর্তৃপক্ষ বলছে ব্রিজ নির্মাণের পর দুই পাশে রাস্তাও করা হবে। উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের পশ্চিম কয়েড়া গ্রামের মন্তার বাড়িসংলগ্ন খালের ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে ব্রিজটি। সরেজমিনে দেখা গেছে, গোবিন্দাসী-নিকরাইল সড়কের পশ্চিম কয়েড়া এলাকায় খালের ওপর ব্রিজ নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। কাজের মেয়াদ শেষ হলেও বর্তমানে ব্রিজের পাইলিংয়ের কাজ চলছে। কয়েকজন শ্রমিক সেখানে কাজ করছেন। যেখানে ব্রিজটির কাজ হচ্ছে তার আশপাশে কোন রাস্তা নেই। এছাড়া ব্রিজটির পশ্চিম পাশে তেমন কোনো বসতিও নেই। খালের ওপর নির্মাণ হওয়া এই ব্রিজের পশ্চিম পাশে নিকরাইল ইউনিয়ন। আর ব্রিজের কাজ হচ্ছে গোবিন্দাসী অংশে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় উপজেলার পশ্চিমকয়েড়া এলাকার মন্তারবাড়ি সংলগ্ন খালের ওপর ১২ মিটার দৈর্ঘ্যের গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের জন্য গত বছরের ২ আগস্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স বিলাশ ট্রেডার্সকে কার্যাদেশ দেয়। ব্রিজটির নির্মাণ ব্যয় দেখানো হয় ৯১ লাখ ৪৫ হাজার ৫৪২ টাকা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি কাজ শেষ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু কাজের মেয়াদ দুই মাস পেরিয়ে গেলেও ব্রিজের কাজ অর্ধেকও করতে পারেনি। ইতোমধ্যে কাজের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। স্থানীয়রা জানান, খালের পশ্চিম পাশেই চর। বসতি তেমন নেই। তবে বর্ষার সময় চরে যেতে বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করতে হয়। বর্ষা ছাড়া খালে পানি থাকে না। অনেক স্থানে রাস্তা তৈরি করায় খালটি এখন মৃতপ্রায়। ঠিকাদার আব্দুল বাছেদ জানান, খালে পানি থাকার কারণে কাজ শুরু করতে দেরি হয়েছে। ব্রিজের সঙ্গে ১০০ মিটার রাস্তার কাজ করা হবে। গোবিন্দাসী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দুলাল হোসেন চকদার বলেন, খালের পশ্চিমে বসতি রয়েছে। ওই এলাকার মানুষ বাঁশের সাঁকোতে খাল পার হতো। এছাড়া চরের আবাদি জমির ফসল আনার জন্য মানুষকে কষ্ট ভোগ করতে হয়। জনদুর্ভোগের কারণে সেখানে ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে ব্রিজের কাজ শেষ হওয়ার পর প্রকল্প নিয়ে রাস্তার কাজ করে দেওয়া হবে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, ব্রিজের নির্মাণের কাজের সঙ্গে ৭০ থেকে ৮০ মিটার রাস্তার কাজ করবে ঠিকাদার। অবশিষ্ট স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান প্রকল্প দিয়ে রাস্তা বানানোর কাজ করবেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহিদুর রহমান জানান, রাস্তা অবশ্যই হবে সেখানে। ব্রিজের বিষয়ে পিআইও আরও বিস্তারিত জানাতে পারবেন।