চিতলমারীতে লবণ আনতে শেষ হচ্ছে বোরো ফসল
প্রকাশ | ০৬ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
চিতলমার (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
আর মাত্র দু'মাস বাদে চাষিরা ঘরে তুলবেন বোরো ফসল। আর এ ফসলকে ঘিরে নানা স্বপ্ন তাদের। কিন্তু সে স্বপ্ন এখন তাদের ম্স্নান হতে চলেছে। লবণ পানির কারণে বাগেরহাটের চিতলমারীতে চাষিদের ক্ষেতের শত একর বোরো ফসল নষ্ট হওয়ার উপক্রম। ফলে চাষিদের মাঝে চরম হতাশা বিরাজ করছে।
স্থানীয় বোরো চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চিতলমারী সদর ইউনিয়নে অবস্থিত চিত্রাপাড়ের মিনি সুন্দরবনের আশপাশের বিল ও চিংড়ি ঘেরের জমিতে ব্যাপকভাবে বোরো আবাদ করা হয়েছে। বিগত বছরে এখানকার জমিতে বাম্পার ফসল হলেও এ বছর লবণ পানির প্রভাবে শত শত একর জমির ফসল নষ্ট হতে চলেছে। ফলে চাষিরা এখন দিশেহারা। চাষিরা ফসল রক্ষার জন্য নানা ধরনের বালাই নাশক স্প্রে করছেন। কিন্তু এতে সুফল মিলবে কিনা সে ব্যাপরে সন্দিহান।
উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের চাষি গোপাল বালা জানান, তিনি তিন একর জমিতে বোরো আবাদ করেছেন। এছাড়া একই গ্রামের বিমল বালা দুই একর, বঙ্কিক বিশ্বাস দুই একর ও পাড়ডুমুরিয়া গ্রামের পরিতোষ হালদার দেড় একরসহ অসংখ্য চাষিরা জমি আবাদ করেছেন। কিন্তু এখন তাদের জমির ফসল অতিরিক্ত লবণের কারণে রাতারাতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
চাষি বিমল বালা হতাশা ব্যক্ত করে জানান, 'বিভিন্ন ব্যাংক, এনজিও ও দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অধিক মুনাফায় টাকা এনে চাষাবাদে ব্যয় করেছি কিন্তু এখন কীভাবে দেনা শোধ করব ভেবে পাচ্ছি না।'
এ বিষয়ে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য শেখ কিসমত হোসেন জানান, প্রতি বছর এক শ্রেণির প্রভাবশালীরা নিজেদের স্বার্থে স্স্নুইসগেট দিয়ে লবণ পানি বিলে ঢুকানের কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নজরে এনে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সিফাত আল মারুফ জানান, যে সব এলাকায় চাষিদের জমিতে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তিনি ঘুওে দেখেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত জমিতে খালের পানি সেচ ও কীটনাশক স্প্রে করতে পরামর্শ দিয়েছেন।