চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে এস আলম সুগার মিলের আগুন নেভানোর আগেই বসতঘরে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১৮ বসতঘর ও দুইটি গবাদি পশু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইছানগর গ্রামের সৈন্যার গুষ্ঠির বাড়িতে অগ্নিকান্ডের এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে কর্ণফুলী ফায়ার সার্ভিসের এক ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এর আগেই সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনে ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন- মো. তাহের, দিল আহম্মদ, আবুল হোসেন, মো. সৈয়দ, আব্দুস সালাম, মো. টিপু, শাহ আলম, বদিউল আলম, আলা উদ্দিন, সাহাব উদ্দিন, মো. ফয়েজ, মো. ছবির, আব্দুল গণি, ওমর আলী, মো. রফিক, সোনা মিয়া ও মো. শুক্কুর।
স্থানীয়রা জানান, মো. ইসলামের গোয়াল ঘরে লাগানো মশার কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে পাশের ১৮ বসতঘরে। এ সময় নগদ টাকা, আসবাবপত্রসহ সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনে ইসমাইলের প্রায় আড়াই লাখ টাকা মূল্যের দুটি গরু অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়। আগুনে অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।
কর্ণফুলী মডার্ন ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউস ইন্সপেক্টর শোয়াইব হোসেন মুন্সি জানান, ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে তার আগেই অনেকটা পুড়ে যায়। বেড়া ও টিনের ঘর হওয়ায় আগুন দ্রম্নত ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি জানিয়েছেন, চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় আগুনে পুড়েছে ১৫টি দোকান। মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে উপজেলার বড়হাতিয়া মনুফকির বাজারে এ ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিস ও এলাকাবাসীর এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রাথমিকভাবে বিদু্যতের শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি, এ ঘটনায় তাদের আনুমানিক ৩২-৩৩ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন- মো. মিজান (মুরগির দোকান), পরিমল শীল (সেলুন), আমিন (ভাতঘর), কর্মকার (কামার), জসিম (মুরগি দোকান), আবদুর রহিম (গোডাউন), শাহ আলম (মুদির দোকান), মফিজুর রহমান (সবজির দোকান), আমিন (ডেকোরেশন), খোকন বড়ুয়া (শুঁটকির দোকান), নাজিম উদ্দিন (চায়ের দোকান), সিএনজি অফিস, আবদুল হাফেজ (চায়ের দোকান), আমিন শরীফ (অফিস), ইউসুফ (পান-সুপারি দোকান)।
বড়হাতিয়া মনুফকির বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা জানান, ভোরে আবদুল হাফেজের চায়ের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখায় ১৫টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে প্রায় ৩৩ লাখ টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
লোহাগাড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন কর্মকর্তা মো. রুবেল বলেন, আগুনে ১৫টি দোকান পুড়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে চায়ের দোকানের বিদু্যতের শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে।