রংপুর বিভাগে মাদকবিরোধী গণসচেতনা কার্যক্রম শুরু

প্রকাশ | ০৬ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

রংপুর প্রতিনিধি
রংপুর বিভাগে আট জেলায় মাদক বিস্তার রোধ করা যাচ্ছে না। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষের মতে, অবৈধভাবে সীমান্তসহ বিভিন্ন চোরাইপথে আসা স্থানগুলোতে কড়াকড়ি না হলে মাদক বিস্তার রোধ করা সম্ভব নয়। তাই মাদকসেবীদের সংখ্যা কমাতে মাদকবিরোধী গণসচেনতামূলক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এরমধ্যে রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আলোচনাসভা করা হচ্ছে। এরপাশাপাশি মাইকিং, পোস্টার, স্টিকার ও লিফলেট বিতরণ এবং বিভিন্ন পাড়া-মহলস্নায় ডকুমেন্টরি প্রদর্শন করা হচ্ছে। মাদকদ্রবব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক আলী আসলাম হোসেন জানান, বাংলাদেশে চোলাইমদ ছাড়া অন্য কোনো মাদকদ্রব্য তৈরি হয় না। অবৈধভাবে মাদকগুলো আসছে বিভিন্ন দেশ থেকে। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সীমান্ত, পানিপথ, পোর্ট ও বিমানবন্দরে কড়াকড়ি অবস্থা থাকলে মাদকের বিস্তার রোধ করা সম্ভব। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রংপুর বিভাগের আট জেলায় পাড়া-মহলস্নায় বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য কেনাবেচা হচ্ছে। মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে তরুণ, যুবকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। এর সঙ্গে পালস্না দিয়ে বাড়ছে অবাধে মাদকসেবীর সংখ্যা। প্রায় সময় মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও মাদকসেবীদের গ্রেপ্তার, মামলা জরিমান করা হচ্ছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক আলী আসলাম হোসেন ২০১৯ সাল থেকে ৫ বছরের তথ্য দিয়েছেন। তিনি জানান, রংপুর বিভাগের আট জেলায় পাঁচ লাখ ৮৩ হাজার ৫৯৭ পিস ও বোতল মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে টাপেন্ডা ডল ট্যাবলেট, গাঁজা, ফেনসিডিল, হেরোইন, ইয়াবা, ইনজেকশন, দেশি মদ, বিদেশি মদ, বিয়ার, স্প্রিড, মদ তৈরির কাঁচামাল, তাড়ি, চোলাইমদ, এনার্জি ড্রিংক, সিডাকসিন রয়েছে। জব্দ করা হছে তিন কোটি ৫২ লাখ ২৯ টাকা, মোবাইল ৩৬টি, মোটরসাইকেল ১৩৯টি, পিকআপ ১২ ও ইজিবাইক ৪৫টি। সূত্র মতে, গত ৫ বছরে নিয়মিত অভিযান হয়েছে ২১ হাজার ৪৮৭টি, ভ্রাম্যমাণ আদালত হয়েছে ১৮ হাজার ৮৫১টি, নিয়মিত মামলা তিন হাজার ৭৮৬, ভ্রাম্যমাণ আদালতে মামলা সাত হাজার ৫৯৮ হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে তিন হাজার ৩৩০ জন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে গ্রেপ্তার হয়েছে পাঁচ হাজার ৭৯৮ জন, পলাতক রয়েছে এক হাজার ৪৭৩ জন।