শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১
৭ মাস পর উদ্ধার করা হয়েছে কুমিলস্না হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া সেই নবজাতককে। পুলিশ বু্যরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কুমিলস্নার সদস্যদের অভিযানে গত সোমবার রাজধানী থেকে ওই নবজাতক উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ ওই নবজাতকদের বাসার ভাড়াটিয়াসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- মুরাদনগর উপজেলার নিয়ামতপুর এলাকার জাকির হোসেনের স্ত্রী পারভীন (৩০) ও জেসমিন জেলার বরুড়া উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের পূর্ব পদুয়ার আব্দুল মালেকের মেয়ে।
জানা গেছে, গত বছরের ১৩ এপ্রিল কুমিলস্না জেনারেল (সদর) হাসপাতালের টিকিট কাউন্টারের সামনে থেকে ৪ দিনের ওই নবজাতক চুরি হয়ে যায়। এ ঘটনায় নবজাতকের বাবা জসিম উদ্দীন (৪৫) কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। পিবিআই মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায়।
গ্রেপ্তার আসামিদের বরাতে পিআইবি জানায়, পারভীনের সঙ্গে জেসমিন কথোপকথনে জানান, তার একটি নবজাতক ছেলে থাকলে কত ভালো হতো। এ সময় পারভীনও তার কথা বুঝতে পেরে তাকে বলেন যদি ৫০ হাজার টাকা দেন, তবে একটি নবজাতক এনে দিতে পারবেন। পরে তারা পরিকল্পনা করেন নবজাতককে এখানে এনে দিলে জেসমিন তাকে নিয়ে পালাবেন। নবজাতকের নানু নুরজাহান বেগম (৬০) তাকে নিয়ে বারান্দায় হাঁটাহাঁটি করার সময় তাদের বাসার ভাড়াটিয়া পারভীন নবজাতকের শারীরিক সমস্যার কথা বলে বড় ডাক্তার দেখানোর জন্য বলেন। নবজাতকের মাকে কিছু না জানিয়ে পারভীন তার নবজাতকসহ নানুকে নিয়ে টিকিট কাউন্টারে যান। জেসমিন নুরজাহান বেগমকে বলেন তিনি বৃদ্ধ মহিলা, তার কষ্ট হচ্ছে। তাই শিশুটিকে তার কোলে নেন। এই সুযোগে জেসমিন নবজাতককে চুরি করে পালিয়ে যান।
পিবিআই কুমিলস্না জেলার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, ওই নবজাতককে বাচ্চাসহ ঢাকা মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে আসামিসহ গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর জেসমিনকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেন সহযোগী পারভীনের কাছে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেলে বাচ্চা মনে করে কিনেছিলেন। এ বিষয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা শেষে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়াধীন।
মঙ্গলবার দুপুরে পিবিআই কুমিলস্না জেলা কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান মামলার তদন্তকারী কর্তকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মফজল আহমদ খান। এ সময় পিবিআই, কুমিলস্নার পুলিশ পরিদর্শক হিলাল উদ্দিন, মঞ্জুর আলম, বিপুল চন্দ্র দেবনাথসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
Google News ফিড অনসরণ করুন
