ভারতীয় অবৈধ চিনির নিরাপদ ট্রানজিট গৌরীপুর

ভারতীয় অবৈধ চিনি, কাপড় ও মাদক চোরাচালানের নিরাপদ ট্রানজিট রোড হচ্ছে গৌরীপুর। এ সড়ক পথে সিলেট, চট্টগ্রাম, ঢাকা ও উত্তরবঙ্গের নানাপ্রান্তে প্রতিদিন এসব পণ্য পরিবহণ হচ্ছে। এ ঘটনা নিয়ে ময়মনসিংহের গৌরীপুরে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় রোববার ক্ষোভ প্রকাশ করেন কমিটির সদস্যরা। সভায় বক্তারা বলেন, 'ভারত থেকে চোরাই চিনির সঙ্গে মাদকও নিয়ে আসা হয়। এ উপজেলায় চর দখলের মতো অবৈধ চিনি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন স্থানে গ্রম্নপ গড়ে উঠেছে। যে কোনো সময় এসব গ্রম্নপের মধ্যে দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও খুন-খারাবি হতে পারে।' প্রশাসনকে এসব চোরাচালানকৃত চিনি প্রতিরোধ করতে বক্তারা অনুরোধ জানান। উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাকিল আহাম্মেদ বলেন, 'অবৈধ চিনির চোরাচালন বন্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।' আইনশৃঙ্খলা কমিটির সদস্য সচিব গৌরীপুর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ সুমন চন্দ্র রায় বলেন, 'অবৈধ চিনি ও মাদক প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।' জানা গেছে, কলমাকান্দা-নেত্রকোনা-শাহগঞ্জ-অচিন্তপুর-গৌরীপুর, গৌরীপুর-শ্যামগঞ্জ সড়ক হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিনই ১৫ থেকে ২০ ট্রাক অবৈধ চিনি প্রবেশ করছে। এতে করে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে এবং অবৈধ চিনিতে সয়লাব হয়ে যাচ্ছে দেশের স্থানীয় বাজার। ক্ষতিগস্ত হচ্ছে দেশীয় চিনি কোম্পানি ও উৎপাদনকারীরাও। একাধিক সূত্র জানায়, চিনির ট্রাক পাচারকালে সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট চক্রের সদস্যরা উপজেলার একাধিক স্থানে 'টোকেন মানি' দিয়ে এসব ট্রাক নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দিচ্ছেন। এ সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাকিল আহাম্মেদ। সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন খান, ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা, সালমা আক্তার রুবী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ম. নূরুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান মো. আল ফারুক, আব্দুলস্নাহ আল আমীন জনি প্রমুখ।