পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় প্রতি বছরের মতো এ বছরও বর্ষা মৌসুম শেষ হতে না হতেই উঁচু জায়গাগুলোতে তরমুজের আগাম চাষ শুরু করেছিলেন কৃষকরা। আর তাই আগাম তরমুজও বাজারে এসেছে ইতোমধ্যে। কৃষকরা ক্ষেত থেকেই খুচরা বিক্রি শুরু করেছেন তরমুজ। আগাম তরমুজে ভালো দাম পেয়েও সন্তুষ্ট কৃষকরা।
সোমবার পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের পাশে কুয়াকাটা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল-সংলগ্ন বালুর মাঠে ঘুরে দেখা যায় উৎপাদিত আগাম তরমুজ রমরমা বিক্রি চলছে। তরমুজ কিনতে স্থানীয়দের পাশাপাশি ভিড় করছেন কুয়াকাটায় আগত পর্যটকরাও। গরম শুরু হতে না হতেই তরমুজ পেয়ে খুশি সাধারণ ক্রেতারা।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার কুয়াকাটায় আগাম তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। আর চাহিদা বেশি থাকায় মৌসুমের শুরুতেই ক্ষেত থেকে তরমুজ কিনে নিচ্ছেন বেপারীরা। একইসঙ্গে বাম্পার ফলন ও দাম বেশি পাওয়ায় তরমুজকে ঘিরে নতুন স্বপ্নে বিভোর চাষি ও বেপারীরা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ক্ষেত এখন তরমুজে সয়লাব। দ্রম্নত বাজার ধরতে চলছে দিনরাতের পরিচর্যা। অনুকূল পরিবেশ কাজে লাগিয়ে অধিক মুনাফার আশা করছেন চাষিরা।
কুয়াকাটার আলীপুরের কৃষক মনির হোসেন বলেন, 'এ বছর ২৫ একর জমিতে আগাম তরমুজ এর চাষ করেছি। এখন পর্যন্ত আমাদের প্রায় ৩০ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। এ বছর ভালো ফলন পাব বলে আশা করছি। ইতোমধ্যে গাছে পরিপূর্ণ ফল চলে আসছে এবং ক্ষেতেই খুচরা বিক্রি শুরু করে দিয়েছি।'
তরমুজ কিনতে আসা স্থানীয় যুবক আলী হায়দার বলেন, 'বাজারে প্রথম তরমুজ আসায় আমি কিনতে এসেছি। আর এখানে একদম ক্ষেতের পাশেই বিক্রি করা হচ্ছে, স্থানীদের পাশাপাশি কুয়াকাটায় আগত পর্যটকরাও এখান থেকে তরমুজ সংগ্রহ করছেন। গরম শুরু হতে না হতেই তরমুজ খেতে পেরে ভালোই লাগছে। আর দামও নাগালের মধ্যেই আছে।'
এ বিষয় কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরাফাত হোসেন বলেন, এ বছর উপজেলায় মোট ১ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে। প্রতি বছরের মতো এ বছরও ফলন মোটামুটি ভালো। কিন্তু কিছুদিন আগে বৃষ্টি হওয়ায় কিছুটা ক্ষতি হয়েছে কৃষকদের। তবে বর্তমানে গাছে যে পরিমাণ ফল ধরেছে তাতে আমরা আশা করছি কৃষকরা ভালো দামে তরমুজ বিক্রি করতে পারবেন। ইতোমধ্যে বাজারে আগাম তরমুজ বিক্রি শুরু হয়ে গেছে।