আজকের যায়যায়দিন

দিলিস্নর হাসপাতালে হাঁটুর অস্ত্রোপচার এবং পরবর্তী চিকিৎসা শেষে ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ দুই মাস পর দেশে ফিরেছেন। রোববার সকাল পৌনে ১০টার এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে দিলিস্ন থেকে ঢাকায় নামেন হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, 'দিলিস্নর ফোর্টিস হাসপাতালে ২৭ ডিসেম্বর আমার হাঁটুর অপারেশন হয়। এখনো চিকিৎসার মধ্যেই আছি। ছয় মাস লাগবে ঠিক হতে। মাত্র দুই মাস গেল, এখন মোটামোটি লাঠি ভর দিয়ে হাঁটতে পারি।' ফোর্টিস হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক কুরিন্দর বিডির তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা হয়েছে বলে হাফিজ জানান।

বিমানবন্দরের ভেতরে অনেকটা সময় বসিয়ে রাখার অভিযোগ করে এই বিএনপি নেতা বলেন, 'আজকে একটি মামলায় আমার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হতে হবে, সেভাবেই এসেছিলাম সকালের ফ্লাইটে। কিন্তু বিমানবন্দরে আড়াই ঘণ্টা আমাকে বসিয়ে রাখা হয়েছে। এখন তো আদালতের যাওয়ার আর সময় নেই। কালকে সকাল ১০টায় আমি আদালতে গিয়ে হাজির হব আশা করছি।' ওই মামলায় হাফিজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে।

এদিন ভোলার নেতাকর্মীরা বিমানবন্দরের টার্মিনালের বাইরে হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে অভ্যর্থনা জানাতে উপস্থিত ছিলেন। সেখান থেকে গাড়িতে করে নেতাকর্মীদের নিয়ে বনানীর বাসায় যান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান।

ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের আহ্বায়ক কমিটি গঠন

হাঁটুর চিকিৎসার জন্য গত ১৪ ডিসেম্বর দিলিস্ন যান হাফিজ। কিন্তু তার যাওয়ার কথা ছিল আরও দুদিন আগে ১২ ডিসেম্বর। সেদিন তার স্ত্রী দিলারা হাফিজকে যেতে দেওয়া হলেও শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে আটকে দেওয়া হয় হাফিজকে।

এরপর বিমানবন্দরে আটকে দেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৩ ডিসেম্বর হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন বিএনপির এই নেতা। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত তাকে দেশত্যাগ ও বিদেশ থেকে দেশে ফেরার অনুমতি দিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়ার পর তিনি চিকিৎসার জন্য দিলিস্ন যান।