ভাঙ্গায় কিস্তির টাকা আদায়ে দুই দফা সংঘর্ষ, আহত ১১

প্রকাশ | ০৪ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় একটি এনজিওর কর্মীদের বকেয়া কিস্তির টাকা গ্রাহকের কাছ থেকে আদায় করা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই দফা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ভাঙ্গা থানার ৫ জন পুলিশ ও ৬ জন এনজিও কর্মীসহ মোট ১১ জন আহত হয়েছে। ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের সুয়াদি গ্রামে গত শনিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে এনজিও কর্মীদের উপর ও রাত ৮টার দিকে পুলিশের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। আহত ৫ পুলিশ সদস্য শনিবার রাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। তারা হলেন- ভাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম ও সিরাজুল ইসলাম, কনস্টেবল মোরাদ হোসেন, মো. জাহিদ, মো. ফারুক। এ ব্যাপারে পলস্নী প্রগতি সহায়ক সমিতির (এনজিও) ম্যানেজার আক্তার হোসেন বলেন, 'সুয়াদি গ্রামের তারা মিয়া (৩৫) নামক এক ব্যক্তি আমাদের এনজিও থেকে ২০২১ সালে ৪৫ হাজার টাকা ঋণ নেন। দীর্ঘদিন তিনি কিস্তি দিচ্ছিলেন না। বকেয়া ২৬ হাজার টাকা আদায়ে আমিসহ আমার এনজিও'র ৫ কর্মী শনিবার সকালে তার বাড়িতে যাই। এ সময় তিনি বাড়িতে না থাকায় তার মোবাইলে যোগাযোগ করি। মোবাইলে কিস্তির পাওনা টাকা চাওয়ায় অকথ্য ভাষায় আমাদের গালি দেন তারা মিয়া। পরে আমরা আসার সময় পথে তারা মিয়াসহ তার সহযোগী প্রায় ১৪-১৫ জন আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় এলোপাতাড়ি মারপিট করে অফিসের স্টাফদের কাছে থাকা প্রায় এক লাখ ৮৯ হাজার ৮শ' টাকা ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা। পরে স্থানীয়রা এসে আমাদের উদ্ধার করে। হামলায় আমি ছাড়াও আহতরা হলেন- এনজিও'র ফিল্ড অফিসার আবুল হাসান, দিপংকর ভদ্র, নিমাই কির্তনীয়া, ইয়াছিন মোলস্না ও হিসাব রক্ষক মিজানুর রহমান। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ফিল্ড অফিসার আবুল হাসান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে ভর্তি রয়েছেন। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে শনিবার দুপুরে ভাঙ্গা থানায় আমি লিখিত অভিযোগ দেই।' এদিকে শনিবার সন্ধ্যায় অভিযোগের তদন্ত করতে যায় পুলিশ। এ সময় তারা মিয়া পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাকে আটক করে। এ দেখে তারা মিয়ার স্ত্রী কনি বেগম হঠাৎ মাটিতে শুয়ে পড়েন। কনি বেগম স্ট্রোকে মারা গেছেন এমন গুজব গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে গ্রামবাসী পুলিশের উপর হামলা চালায়। এ সময় ৫ পুলিশ আহত হয়। খবর পেয়ে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে নিয়ে আসে। ভাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) প্রদু্যত কুমার সরকার বলেন, 'কিস্তির টাকা আদায় করতে গিয়ে এনজিওর লোকজন হামলার শিকার হয়। এমন অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে সুয়াদি গ্রামের কিছু লোক আমাদের উপর হামলা চালায়। হামলার খবর পেয়ে আমরা আরও পুলিশ নিয়ে সেখানে যাই। এরপর আক্রমণকারীরা পিছু হটে। এ বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।'