নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের বড়ালু পাড়াগাঁও বাতেনিয়া দাখিল মাদ্রাসায় অর্থের বিনিময়ে আয়া নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক মাওলানা আব্দুল হাই ও সভাপতি মাইনুদ্দিন আহমেদ মানিকের বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার ওই মাদ্রাসার আয়া নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই পদে মোট ৯জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন। পরীক্ষার বিষয়ে তদন্ত পূর্বক সঠিক, স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্নের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ভূক্তভোগী প্রার্থীরা।
মৌখিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহণকারী প্রার্থী ফজি আক্তার বলেন, 'আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে। তাই এ মাদ্রাসায় আয়া হিসেবে কাজ করার জন্য পরীক্ষায় অংশ নিয়েছি। মৌখিক পরীক্ষায় আমার শশুর বাড়ি এবং বাবার বাড়ি কোথায় জিজ্ঞেস করে পরীক্ষা শেষ করে দিয়েছে। এটা কোনো পরীক্ষা না। এটা পরীক্ষার নামে আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। এখানে হাসি আক্তারের কাছে মোটা অংকের টাকা নিয়ে তাকে বাছাই করা হয়েছে। আমরা চাই সঠিক তদন্ত করে পুনরায় সঠিকভাবে পরীক্ষা নেওয়া হোক।'
এ বিষয়ে মাদ্রাসার পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মাইনুদ্দিন আহমেদ মানিক মেম্বার তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মাদ্রাসায় আয়া পদে নিয়োগে কোনো প্রকার আর্থিক লেনদেন হয়নি। মৌখিক পরীক্ষায় মাদ্রাসা বোর্ডের প্রতিনিধি, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের উপস্থিতিতে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। যে পরীক্ষায় ভালো করেছে তাকেই বাছাই করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বড়ালু পাড়াগাঁও বাতেনিয়া দাখিল মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মাওলানা হাইয়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিয়মনীতি মেনে স্বচ্ছাভাবে নিয়োগ বোর্ডের মাধ্যমে নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়েছে। যারা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে অকৃতকার্য হয়েছেন তারা মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছেন। নিয়োগের ব্যাপারে কোন আর্থিক লেনদেন করা হয়নি।