আজকের যায়যায়দিন

পবিত্র মাহে রমজান মাস উপলক্ষে নিজ নির্বাচনী এলাকার জনগণের প্রতি বিশেষ আহ্বান জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি। সেহেরি ও ইফতারের সময়সূচি সংবলিত একটি লিফলেটে 'রমজানের বিশেষ আবেদন' শিরোনামে রমজান মাসে জিনিসপত্রের সরবরাহ, সংকটের গুজব ছড়িয়ে মূল্য বৃদ্ধির প্রবণতা এবং অতিরিক্ত জিনিস কেনার ব্যাপারে সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। শুধুমাত্র পানাহার থেকে বিরত নয়, প্রতিটি ক্ষেত্রে সংযম প্রদর্শনেরও আহ্বান মন্ত্রীর।

রোববার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল দলীয় নেতাকর্মী এবং পৌর কাউন্সিলরদের সঙ্গে নিয়ে পৌরশহরের সড়ক বাজারে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে আইনমন্ত্রীর এই বিশেষ প্রচারপত্রটি বিতরণ করেন।

'রমজানের বিশেষ আবেদন' শিরোনামে আইনমন্ত্রীর প্রচারপত্রে লেখা আছে, 'রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর পর্যাপ্ত সরবরাহ ও দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের সরকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর যাতে কোনো ধরনের ঘাটতি বা সংকট না দেখা দেয়, এজন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ পণ্যসামগ্রী দেশ-বিদেশ থেকে সংগ্রহ করে যথাসময়ে আপনাদের হাতের নাগালে সরবরাহের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।'

মন্ত্রী আরও লিখেছেন, 'রোজা শুরুর পূর্ব মুহূর্তে আমাদের মধ্যে অনেকেই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি কিংবা ঘাটতির আশঙ্কা করে, প্রয়োজনে অতিরিক্ত, প্রচুর পরিমাণ নিত্য পণ্যসামগ্রী একসঙ্গে কেনার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। এই সুযোগে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী বাজারে কৃত্রিম ঘাটতি ও সংকটের গুজব ছড়িয়ে অযৌক্তিভাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে। ফলে সাধারণ জনগণকে অনেক সময় কষ্ট ভোগ করতে হয়।'

কলারোয়ায় একই দিনে ভেঙে পড়ল বেত্রবতী নদীর ৩ সেতু

তিনি আহ্বান জানান, রমজান আত্মশুদ্ধি অর্জনের মাস। শুধুমাত্র পানাহার করে বিরত থাকাই রমজানের শিক্ষা নয়। প্রতিক্ষেত্রে সংযম প্রদর্শন করাই রমজানের আদর্শ।

পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল বলেন, 'রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা বিভ্রান্তি ছড়ায়। এছাড়া অনেকে একসঙ্গে প্রয়োজনের অতিরিক্ত জিনিস কিনে জিনিসের দাম বাড়াতে নিজের অজান্তেই সহযোগিতা করে। এসব থেকে উত্তোরণে আইনমন্ত্রী সাধারণ মানুষের প্রতি বিশেষ আবেদন জানিয়েছেন।

লিফলেট বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন পৌর কাউন্সিলর বাবুল মিয়া, বাহার মিয়া, শিপন হায়দার, সফিকুল ইসলাম স্বপন, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, মিলি আক্তার, নার্গিস বেগম, রেখা খানম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন বাবুল, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হান্নান মেম্বার প্রমুখ।