বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে নরমাল ডেলিভারিতে আস্থা বাড়ছে

ডোমার (নীলফামারীর) প্রতিনিধি
  ০৪ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে নরমাল ডেলিভারিতে আস্থা বাড়ছে

নীলফামারীর ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে নরমাল ডেলিভারিতে আস্থা বাড়ছে গর্ভবতী মায়েদের। দেশে চিকিৎসা সেবায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে বিত্তবান ব্যক্তিদের এবং আরামপ্রিয় কিছু অংশ মানুষজন বিশেষ করে ব্যাঙ্গের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা ক্লিনিকে কর্মরত চিকিৎসকদের সিজারিয়ান পরামর্শের কারণে নরমাল ডেলিভারির কথা ভুলতে বসেছেন অনেকে। ঠিক সে মুহূর্তে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে নরমাল ডেলিভারিতে আস্থা বাড়ছে গর্ভবতী মায়েদের। ইতোমধ্যে নরমাল ডেলিভারিতে নীলফামারী জেলায় প্রশংসা কুড়াচ্ছে সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটি।

ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ২০২১ সালে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে সন্তান জন্ম দিয়েছেন ৫৮৪, ২০২২ সালে এক হাজার ৮৮ এবং ২০২৩ সালে এক হাজার ১৮৮ জন প্রসূতি। চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রম্নয়ারিতে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে সন্তান জন্ম দিয়েছেন ১৮৩ জন প্রসূতি। সিজারিয়ানের মাধ্যমে প্রসব হয়েছে ২০২১ সালে ৪৭ শিশুর, ২০২২ সালে ২১৬ এবং ২০২৩ সালে ২৯১ জন শিশুর। চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রম্নয়ারি মাসে সিজার করা হয়েছে ৪৯ জনের।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রায়হান বারী যোগদানের পর থেকে তার নিজস্ব তৎপরতায় চিকিৎসা সেবায় আমূল পরিবর্তন এনেছেন। বিশেষ করে গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে। নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে সন্তান প্রসব করার লক্ষ্যে গর্ভবতী নারীদের হাসপাতালমুখী করতে হাসপাতালে এএনসি কমিউনিকেশন সেল তৈরি করা হয়েছে। সেখানে ৩ শিফটে সার্বক্ষণিক ৮ জন মিডওয়াইফ কাজ করছেন। স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের প্রসূতি ওয়ার্ডে একদিনে ৭ শিশু জন্ম নেওয়ার রেকর্ডও রয়েছে।

ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের প্রসূতি ওয়ার্ডের ইনচার্জ মিডওয়াইফ জান্নাতুল ফেরদৌসি জান্নাত জানান, গর্ভবতী নারীদের নিয়ে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রতিমাসে ৪টি করে ভায়া ক্যাম্প ও ৪টি এনসি করা হয়। সেখান থেকে কাউন্সিলিং করে গর্ভবতী মায়েদের চেকআপের জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসি। আমরা নামমাত্র মূল্যে গর্ভবতী মায়েদের আলট্রা সনোগ্রাম, রক্ত ও প্রস্রাব পরীক্ষা করে থাকি এবং ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়গুলো অবগত করি। নরমাল ডেলিভারিতে উদ্বুদ্ধ করতে সন্তান প্রসব হওয়ার পর স্বাস্থ্য কর্মকর্তার ব্যক্তিগত অর্থায়নে নবজাতককে গিফট প্রদান করা হয়। পাশাপাশি সন্তান জন্মের পর ৪২ দিন পর্যন্ত নবজাতকের খোঁজ-খবর নেই এবং সেবা দিয়ে থাকি। এসবের কারণে নরমাল ডেলিভারির সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রায়হান বারী জানান, এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রাতিষ্ঠানিক নরমাল ডেলিভারি বৃদ্ধির লক্ষ্যে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে এএনসি কমিউনিকেশন সেল তৈরি করে কাজ করে যাচ্ছি। সারাদেশের মধ্যে একমাত্র আমরাই গর্ভবতী মায়েদের জন্য মোবাইল সেবা চালু করেছি। যা দেশের অন্য কোনো উপজেলায় নাই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে