জাজিরায় হত্যার জেরে প্রতিপক্ষের তিন বাড়িতে রাতভর তান্ডব

প্রকাশ | ০৪ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

জাজিরা (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি
প্রতিপক্ষের হামলায় শরীয়তপুরের জাজিরার সেনেরচর ইউনিয়নের চরদুপুরিয়া এলাকার গ্রাম্য নেতা মন্টু বেপারি হত্যাকান্ডের শিকার হওয়ায় তার গ্রম্নপের লোকজন রাতভর তিনটি বাড়িতে তান্ডব চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিশের দাবি তেমন কিছুই ঘটেনি সেখানে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় মন্টু বেপারি হত্যার শিকার হলে পরদিন শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। যদিও পুলিশ জানিয়েছিল অপ্রীতিকর ঘটনা এড়িয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিপক্ষের আ. করিম মাস্টার এবং জাহাঙ্গীর মুন্সিদের বসত ঘরে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুরের পাশাপাশি আলমারি ও অন্য আসবাবপত্রের ড্রয়ার ভেঙে নিয়ে যাওয়া হয়েছে টাকা-পয়সাসহ মূল্যবান জিনিস। এছাড়া একটি ঘরের ভিতরে থাকা আসবাবপত্রে আগুন ধরিয়ে দেওয়ায় পোড়া চিহ্নও রয়েছে। প্রত্যেকটি ঘরে ব্যাপক তান্ডব চালানোর চিত্র স্পষ্ট হয়ে আছে। তবে জাজিরা থানা পুলিশ রাতভর সেখানে টহল দিয়েছে বলে দাবি তাদের। অথচ পুলিশের টহল দেওয়া ছোট্ট এলাকাটির কয়েক মিনিটের দূরত্বের মধ্যেই রয়েছে তান্ডব চালানো বাড়িগুলো। বাড়ির মধ্যকার প্রত্যেকটি ঘরেই লুটপাটের আলামত রয়েছে। কিন্তু সেখানে তেমন কিছুই ঘটেনি বলে দাবি পুলিশের। জাহাঙ্গীর মুন্সির স্ত্রী জানান, রাত ১২টার সময় মন্টু বেপারির ভাগিনা ফারুক সরদারের নেতৃত্বে তাদের গ্রম্নপের অন্তত শতাধিক লোক তাদের বাড়িতে এসে গালিগালাজ করে। তার ঘাড়ে রামদা ধরে এবং তার হাত বেঁধে ঘরের মধ্যে ফজরের আজান পর্যন্ত ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এ সময় তার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন, কানের দুল এমনকি নাকের নাকফুল পর্যন্ত জোরপূর্বক খুলে নিয়ে যায় তারা। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে অভিযুক্ত মন্টু বেপারির ভাগিনা ফারুক সরদারের মুঠোফোনে বহুবার কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। রাতে সেখানে টহল দেওয়া জাজিরা থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক (এসআই) দেলোয়ার হোসেন বলেন, 'আমরা সারারাত সেখানে টহল দিয়েছি এবং যেখানেই কেউ সমস্যা করার চেষ্টা করেছে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছি। একটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করলে আমরা আগুন নিভিয়ে দেই। তবে জাহাঙ্গীর মুন্সির বাড়িতে কোনো ঘটনা ঘটেছে কিনা তা আমরা জানি না।' জাজিরা থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, 'সাধারণত হত্যাকান্ডের পরে অনেক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা হয়ে থাকে। তবে আমাদের টহল জোরদার থাকায় তেমন কিছুই ঘটেনি।'