চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে কোটি টাকার স্বর্ণের বারসহ নারী আটক
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ দুই জেলায় গ্রেপ্তার ৬
প্রকাশ | ০৪ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
স্বদেশ ডেস্ক
চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় ১১টি স্বর্ণের বারসহ এক নারী চোরাকারবারিকে আটক করেছে বিজিবি। এছাড়াও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ দুই জেলায় আরও ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছের্ যাব। আঞ্চলিক স্টাফ রিপোর্টার ও প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে বিস্তারিত খবর-
স্টাফ রিপোর্টার, চুয়াডাঙ্গা জানান, চুয়াডাঙ্গা দর্শনা থানার সীমান্তবর্তী গ্রাম ছয়ঘড়িয়া থেকে ১১টি স্বর্ণের বারসহ তাছলিমা খাতুন (২৫) নামে এক নারী চোরাকারবারিকে আটক করেছে বিজিবি।
রোববার বিজিবির চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে এ স্বর্ণের বারগুলো উদ্ধার করতে সক্ষম হন। আটক তাছলিমা খাতুন চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানাধীন কামাড়পাড়া এলাকার রেজাউল করিমের মেয়ে।
বিজিবি জানায়, দর্শনা থানার ছয়ঘড়িয়া গ্রামের মধ্য দিয়ে সীমান্ত অভিমুখে যাওয়ার পথে বিজিবি সদস্যরা ইজিবাইক তলস্নাশি করেন। এরপর ইজিবাইকে থাকা নারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এক পর্যায়ে তার শরীরের কোমরের ভেতরে লুকায়িত অবস্থায় এক কেজি ৩২০ গ্রাম ওজনের ১১টি স্বর্ণের বার বিজিবি সদস্যদের সামনে ফেলে দেয়।
চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান বলেন, 'জব্দকৃত স্বর্ণের বারগুলোর আনুমানিক বাজার মূল্য ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আটক নারী চোরাকারবারিকে দর্শনা থানায় হস্তান্তরসহ বিজিবির পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়েছে।
পাবনা প্রতিনিধি জানান, পাবনা সদর উপজেলার একটি চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ২০ বছর আত্মগোপন থাকার পর গ্রেপ্তার করেছের্ যাব।
রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতের্ যাব-১২ কোম্পানি কমান্ডার মেজর এহতেশামুল হক খান এ তথ্য জানান।
এর আগে শনিবার রাজধানী ঢাকার শাহ মাগদুম এভিনিউতে এ রেডিকেল হসপিটালের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আসামি মো. চাঁদ মিয়া (৫০) পাবনা সদর উপজেলার বলরামপুরের মৃত পঁচাই প্রামাণিকের ছেলে। ২০০৩ সালের ৭ ডিসেম্বর পাবনা সদর উপজেলার দোগাছী ইউনিয়নের চর রাণীনগরের চাঞ্চল্যকর এবাদুল হক হত্যাকান্ডের অন্যতম সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন।
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, সিরাজগঞ্জে ছিনতাইকারী চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছের্ যাব।
রোববারর্ যাব-১২ এর অধিনায়ক মারুফ হোসেন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে শনিবার রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলো সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়নের কামরুল ইসলাম হাসান (২২), পৌর এলাকার সয়াগোবিন্দ ভাঙ্গাবাড়ি মহলস্নার ইমরান শেখ (৩২), সয়ধানগড়া মহলস্নার ইনসান শেখ (২০), মুন্না শেখ (২৭) ও দিয়ারধানগড়া মহলস্নার মৃত জয়নালের স্ত্রী মুক্তি বেগম (৫০)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৮টি মোবাইল ও নগদ ৯ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
র্
যাব-১২ অধিনায়ক আরও জানান, আসামিরা একটি সংঘবদ্ধ ছিনতাই চক্রের সক্রিয় সদস্য। সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় সুযোগ বুঝে সাধারণ মানুষকে নানা কৌশলে ফাঁদে ফেলে ছিনতাই করে আসছিল। গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।