কৃষকশ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, '১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাকে হত্যা করা হয়েছে। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শওকত মোমেন শাহজাহানের ছেলে জয়ের কাছে হেরেছি। খবরটা কি ভালো না। আমার পরিচয় কি। আমার পরিচয় আমি বাংলাদেশের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর এক নাম্বার ভক্ত, বঙ্গবন্ধুর অনুসারী। শুধু তার নির্দেশেই যুদ্ধই করিনি, তাকে হত্যার প্রতিবাদ করেছি। তখন অনেককে পাইনি প্রতিবাদ করতে। বীর মুক্তিযোদ্ধারা এখনো তাদের যথাযোগ্য মূল্যায়ন পাননি।'
শনিবার টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা পরিষদ হলরুমে 'কাদেরিয়া বাহিনীর ২৭নং হিরো কোম্পানি ৭১' নামের গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবে তিনি এসব কথা বলেন।
ভূঞাপুর সম্পর্কে তিনি বলেন, 'সিরাজগঞ্জ, জামালপুর ও শেরপুরের চেয়ে কুদ্দুস নগরখ্যাত ভূঞাপুর মুক্তিযুদ্ধের অবদান সবচেয়ে বেশি। তবে সখীপুর উপজেলা প্রথম। ভূঞাপুর যার জন্য হয়েছে তিনি হলেন প্রিন্সিপাল ইবরাহীম খাঁ। প্রিন্সিপাল ইবরাহীম খাঁ পাকিস্তানকে সমর্থক করেননি। আমাদের যাদের কালো অক্ষর পেটের মধ্যে গেছে সেটা এই ইবরাহীম খাঁর জন্য হয়েছে। ইবরাহীম খাঁর জন্যই আমি কাদের সিদ্দিকী, সামছুল হক, আবদুল মান্নান, বদি ভাই হয়েছে। গোবিন্দাসীর মীর মোয়াজ্জেম হোসেন দুদু মিয়া বীর মুক্তিযোদ্ধাদের খাবার জোগান না দিলে তারা যুদ্ধ করতে পারতেন না।'
বঙ্গবীর বলেন, ভূঞাপুরে ১১ আগস্ট পাকিস্তানিদের অস্ত্র বোঝাই জাহাজ ধ্বংস করা হয়েছিল। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতার টাকা বন্ধ করার কারোর বাবার মুরোদ নেই। কাদেরিয়া বাহিনীর বীর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ১৭ হাজারের বেশি। তবে ১৮ হাজার নয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাকীম বীর প্রতীকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক যুগ্ম সচিব শফিকুল ইসলাম, লেখক মির্জা মহীউদ্দিন, মুক্তিযুদ্ধ গবেষক মামুন তরফদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী তালুকদার, আজিজুর রহমান আজিজ প্রমুখ।