বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

দুপচাঁচিয়ায় উৎপাদনের তুলনায় স্টোরেজে ধারণ ক্ষমতা কম

আলুর বুকিং বন্ধ বিপাকে চাষিরা
দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি
  ০৩ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
দুপচাঁচিয়ায় উৎপাদনের তুলনায় স্টোরেজে ধারণ ক্ষমতা কম

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় এবার আলুর ব্যাপক আবাদ হয়েছে। তবে উৎপাদনের তুলনায় কোল্ড স্টোরেজে ধারণ ক্ষমতা কম থাকায় আলুর বুকিং বন্ধ হয়েছে। আর বুকিং বন্ধ হওয়ায় উপজেলার আলু চাষিরা বিপাকে পড়েছেন।

জানা যায়, দুপচাঁচিয়া উপজেলার সাদত কোল্ড স্টোরেজ ও সাহারা কোল্ড স্টোরেজ নামে দু'টি কোল্ড স্টোরেজ রয়েছে। সাদত কোল্ড স্টোরেজে ৫ হাজার মেট্রিক টন ও সাহারা কোল্ড স্টোরেজে ৬ হাজার ৬৮ মেট্রিক টনসহ মোট ১১ হাজার ৬৮ মেট্রিক টন আলু ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। এ উপজেলায় এবার আলুর ভালো ফলন হওয়ায় ও অনেক চাষি আগেই বুকিং দেন। এর কারণে প্রায় ১৫ দিন আগেই এ দুই কোল্ড স্টোরেজে আলুর বুকিং শেষ হয়েছে। স্টোর কর্তৃপক্ষের দাবি প্রতি বছরের মতো এবারও স্টোরেজে চাষিদের আলু রাখার জন্য বিভিন্ন হাট বাজারে গিয়ে বুকিং নেওয়া হয়েছে। বুকিং শেষ হওয়ায় এলাকার চাষিরা আলু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। বাধ্য হয়ে তারা উপজেলার বাইরের স্টোরেজে আলু সংরক্ষণ করার চেষ্টা করছেন।

উপজেলার চেঙ্গা গ্রামের অষ্ট পাল বলেন, তিনি অল্প কয়েক বস্তা বীজ আলু স্টোরে বুকিং দিতে গিয়ে বুকিং না নেওয়ায় কাহালুর তিনদীঘি কোল্ড স্টোরেজে বুকিং দিয়েছেন। আরেক আলু চাষি উপজেলার শল্যাপাড়া গ্রামের খায়রুল বারী জানান, তিনি প্রতিবারেই কমবেশি আলু চাষ করেন। এবার প্রায় আড়াই বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছেন। আলু ঘরে তোলার পর খাবারের জন্য কিছু পরিমাণ বাড়িতে রেখে অতিরিক্ত আলু দুপচাঁচিয়া কোল্ড স্টোরেজে সংরক্ষণ করে থাকেন। কিন্তু এবার আলু তোলার সময়ই দুই কোল্ড স্টোরেজে বুকিং শেষ হয়েছে। স্টোর কর্তৃপক্ষ আর স্টোরে আলু বুকিং নিচ্ছেন না। বাধ্য হয়ে দুপচাঁচিয়া উপজেলা হতে বেশি কয়েক কিলোমিটার দুরে কাহালুর সাবানপুর কোল্ড স্টোরেজে আলুর বুকিং করেছেন।

দুপচাঁচিয়া ধাপ সুলতানগঞ্জ হাটসংলগ্ন সাদত কোল্ড স্টোরেজের ম্যানেজার রেজাউল হক বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও স্টোরেজে চাষিদের আলু সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন হাট বাজারে গিয়ে বুকিং নেওয়া হয়েছে। এতে করে ইতোমধ্যে স্টোরেজে আলুর বুকিং শেষ। মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে বুকিং নেওয়া চাষিদের কাছে আলু স্টোরে রাখা শুরু হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাজেদুল আলম জানান, এ উপজেলা আলু চাষের উপযোগী হওয়ায় বেশিরভাগ চাষি আলু চাষ করে থাকেন। এ বছর ৪ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৫৭০ মেট্রিক টন। উৎপাদিত আলুর তুলনায় স্টোরেজের ধারণ ক্ষমতা অনেক কম হওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। দুপচাঁচিয়ায় আরও কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণ হলে চাষিদের আলু সংরক্ষণ নিয়ে সমস্যার অনেকাংশে সমাধান হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে