অগ্নিকান্ডে সাঘাটায় ১৪ ও চকরিয়ায় ৫ বাড়ি ছাই
প্রকাশ | ০২ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
স্বদেশ ডেস্ক
অগ্নিকান্ডে গাইবান্ধার সাঘাটায় ১৪ ও কক্সবাজারের চকরিয়ায় ৫ বাড়ি ভস্মীভূত হয়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত-
সাঘাটা (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি জানান, গাইবান্ধার সাঘাটার হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ দীঘল কান্দি চরের গুয়াবাড়ি গ্রামে ১০ পরিবারের ১৪টি ঘর-বাড়ি আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার অগ্নিকান্ডের এ ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে সাঘাটা ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম নৌকা যোগে ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও ততক্ষণে আগুনে পুড়ে যায় ওই সব ঘর-বাড়ি। সেখানে প্রতিবন্ধী দুলাল মিয়াসহ ১০টি পরিবারের ঘর-বাড়ি, আসবাবপত্র, শ্যালোমেশিন, গরু, ছাগল পুড়ে যায়। এতে প্রায় ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার জানিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও সাঘাটা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ খলিলুর রহমান জানান, বাড়ির পাশের ছাইয়ের পালা থেকে উড়ে আসা আগুনে এ অগ্নিকান্ডের সূত্রপাতের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এলাকাটি দুর্গম চরাঞ্চল হওয়ায় সময়মতো পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। হলদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এছাড়াও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসাহাক আলী ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। সেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।
চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি জানান, কক্সবাজারের চকরিয়ায় বৈদু্যতিক শর্টসার্কিট থেকে সৃষ্ট আগুনে পাঁচটি বাড়ি পুড়ে ছাই হয়েছে। শুক্রবার ভোররাত চারটার দিকে পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড হাজিপাড়া এলাকায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজন এখন খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে।
পুড়ে যাওয়া বাড়ির মালিক নুরুল ইসলাম জানান, ভোররাতে হঠাৎ শোর-চিৎকার শুরু হলে দেখা যায় মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ছে। পাশাপাশি হওয়ায় পাঁচটি বাড়ি আগুনে পুড়ে যায়। তবে শিশু-নারী-পুরুষ কেউ আহত হয়নি। আগুনে পুড়ে আনুমানিক ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এতে ৩-৪ লাখ নগদ টাকাও পুড়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত দলিলুর রহমান নামে এক বৃদ্ধ বলেন, আগুনে তার সব কিছু পুড়ে গেছে। আর কিছুই রইল না।
পূর্ব বড় ভেওলা ইউপি'র ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হারুনর রশীদ বলেন, আবুল কাশেম মাঝির বাড়িতে বৈদু্যতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরপর লাগোয়া ৫টি বাড়ি মুহূর্তে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফখরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে টিন ও নগদ টাকা সহায়তা দেওয়া হবে।