'ভৌগোলিক অবস্থানগত দিক থেকে বাংলাদেশ একটি দুর্যোগপ্রবণ দেশ। তাই দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারি, বেসরকারি ও উন্নয়ন সংস্থাগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সমন্বয় ও সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি। কারণ সমন্বয় ছাড়া দুর্যোগ মোকাবিলা সম্ভব নয়।'
বুধবার সকালে 'দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, পরিবর্তনশীল জলবায়ু অভিযোজন এবং সরকারের সহযোগী হিসেবে রেড ক্রিসেন্টের ভূমিকা' শীর্ষক জাতীয় গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন বক্তারা।
রাজধানীর একটি হোটেলে জার্মান রেডক্রসের সহযোগিতায় এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (বিডিআরসিএস)। এতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন পর্যায়ের অংশীদার ছিলেন।
বৈঠকে দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন বিষয়ে রেড ক্রিসেন্টের নেওয়া পদক্ষেপগুলো অংশীদারদের জানানো হয়। পাশাপাশি বাংলাদেশে দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা এবং বিডিআরসিএসের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয়ের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়।
গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সোসাইটির বিডিআরসিএস মেজর জেনারেল (অব.) এটিএম আবদুল ওয়াহ্হাব বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানগত দিক থেকে বাংলাদেশ দুর্যোগপ্রবণ দেশ। দেশটির দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারি, বেসরকারি ও উন্নয়ন সংস্থাগুলোর সমন্বয় অত্যন্ত জরুরি। কারণ সমন্বয় ছাড়া দুর্যোগ মোকাবিলা সম্ভব নয়। আজকের এই সংলাপের মধ্য দিয়ে দুর্যোগ ঝুঁকি মোকাবিলায় পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার হবে বলে আমি মনে করি।
উপকূলীয় এলাকায় সিপিপি ও রেড ক্রিসেন্টের যুব স্বেচ্ছাসেবকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দুর্যোগে সাড়া দেন, যা সর্বমহলে প্রশংসিত উলেস্নখ করে তিনি বলেন, স্বেচ্ছাসেবার বিকল্প নেই। শুধু সরকার নয়, প্রতিটি বেসরকারি ও কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে দক্ষ ও সুপ্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করা গেলে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা অনেকটাই সহজ হবে।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান মো. নূর-উর-রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে বিশেষ অতিথি ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান।
বৈঠকে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির পরিচালক আহমাদুল হক, সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পর্ষদ সদস্য মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম, মহাসচিব কাজী শফিকুল আযম, উপ-মহাসচিব সুলতান আহমেদ, আইএফআরসির হেড অব ডেলিগেশন আলবার্টো বোকানেগ্রা, জার্মান রেডক্রসের হেড অব ডেলিগেশন গৌরব রয়, সোসাইটির বিভিন্ন বিভাগের পরিচালক, আবহাওয়া অধিদপ্তর, পানি উন্নয়ন বোর্ড, কৃষি, আবহাওয়া তথ্য সেবা, পরিবেশ অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, জাতিসংঘ ও এর অঙ্গসংস্থা, বিশ্বব্যাংক, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি ছিলেন।