রংপুরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর আমৃতু্য কারাদন্ড
তিতাসে চাচাকে গলা কেটে হত্যার দায়ে ভাতিজার মৃতু্যদন্ড
প্রকাশ | ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
রংপুর প্রতিনিধি
রংপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে স্বামী জসিম উদ্দিন ভুট্টোকে (৪০) আমৃতু্য কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এ মামলায় ৬ জনকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং বিলকিস বেগমকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
কারাদন্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ভুট্টুর বাবা বেলাল হোসেন (৬২), মা কুসুম বেগম (৫৫), বিপস্নব সরকার বিটু (৪০), আবু সাইদ (৬২), নুরুদ্দিন (৩৩) ও খাজির উদ্দিন (৪৩)।
বুধবার দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের- সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ রোকনুজ্জামান এই রায় প্রদান করেন। রায়ের সময় সব আসামি আদালতে ছিলেন।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জাহাঙ্গীর হোসেন তুহিন জানান, রংপুরের পীরগাছা উপজেলার মমিন বাজার এলাকার আবু বক্কর সিদ্দিকের মেয়ে আয়শা সিদ্দিক বিউটিকে (৩০) যৌতুকের দাবিতে স্বামী জসিম উদ্দিন ভুট্টো ২০১৮ সালের ১ জুন শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে তাকে গোয়াল ঘরে তিনদিন পুরে রাখার পর বাড়ির পাশে পাট ক্ষেতে ফেলে রাখে।
তিতাস (কুমিলস্না) প্রতিনিধি জানান, কুমিলস্নার তিতাসে চাচাকে গলা কেটে হত্যার দায়ে ভাতিজা আব্দুল আউয়ালকে মৃতু্যদন্ড দিয়েছেন আদালত। গত মঙ্গলবার কুমিলস্নার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন। দন্ডপ্রাপ্ত আবদুল আউয়াল উপজেলার জগতপুর ইউনিয়নের কৈয়ারপাড় গ্রামের আবদুর রবের ছেলে। উক্ত রায়ে বাদীপক্ষ সন্তুষ্টি প্রকাশ করে রায় কার্যকরের দাবি জানান।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৯ জানুয়ারি একটি ডাকাতি মামলায় আবদুল আউয়ালকে তিতাস থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ওই সালের ২০ মে আউয়াল জামিনে এসে তাকে গ্রেপ্তারের নেপথ্যে চাচা নবী হোসেনকে (৬৪) সন্দেহ করেন এবং হত্যার হুমকি দেন। এর চারদিন পর ২৪ মে সন্ধ্যায় ভূঁইয়ার বাজার থেকে কৈয়ারপাড় বাড়ি ফেরার সময় বাতাকান্দি মোহনপুর সড়কে মৃত তালেব আলীর ছেলে ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নবী হোসেনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়। ওই রাতেই নিহতের ছেলে রাসেল বাদী হয়ে জ্যেঠাতো ভাই আউয়ালসহ অজ্ঞাতনামা দুইজনকে আসামি করে তিতাস থানায় মামলা করেন।
২০২২ সালের ২১ আগস্ট এ মামলার অভিযোগ গঠন করেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষের ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে মৃতু্যদন্ড দেওয়া হয়।