মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সাতক্ষীরায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২৫ হাজার মেট্রিক টন

বিদেশে রপ্তানি হবে ৪০০ মে. টন
শাকিলা ইসলাম জুঁই, সাতক্ষীরা
  ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
সাতক্ষীরার আম বাগানের গাছের প্রতিটি থোকায় ফুটে থাকা মুকুল -যাযাদি

সাতক্ষীরার যেদিকে তাকাবেন, আম বাগানের গাছের প্রতিটি থোকায় ফুটে আছে আমের মুকুল। বিভিন্ন আম বাগান, রাস্তা-ঘাটা ও বাড়ির আঙ্গিনায় লাগানো গাছে আমের মুকুলের ম-ম গন্ধে মুখরিত হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা। ইতোমধ্যে অনেক গাছে আমের গুটি আসতে শুরু করেছে। বৃষ্টির কারণে মুকুলের একটু ক্ষতি হলেও বৃষ্টিতে মাটিতে রস থাকায় কৃষকরা বলছেন, এবারও সাতক্ষীরায় আমের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া ও মাটির গুণগত কারণে অন্য জেলার তুলনায় মধু মাস জোষ্ঠের আগেই সাতক্ষীরায় আম পাকে ও বাজারে ওঠে। গুনে-মানে স্বাদে সেরা হওয়ায় কয়েক বছর ধরে সাতক্ষীরার আম দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে।

সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলায় চলতি মৌসুমে এক হাজার ২৪৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ হাজার মেট্রিক টন এবং রপ্তানির ৪০০ মেট্রি টন।

আমের উৎপাদন মূলত আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায়, গাছে আমের মুকুল আসতে দেরি হয়েছে। তবে আমের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে উপজেলা কৃষি অফিস। সাতক্ষীরা সদর উপজেলা থেকে গত বছর ১৮০ মেট্রিক টন আম বিদেশে রপ্তানি হয়। তবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিদেশে ৪০০ মেট্রিক টন আম রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটার ত্রিশমাইলের আমচাষি কৃষক সিরাজুল ইসলাম জানান, '৩০ শতক জমিতে বাণিজ্যিকভাবে আম বাগান করেছি। সেখানে হিমসাগর, লেংড়া, আম্রপালি ও গোপালভোগ আমগাছগুলো মুকুলে ভরে গেছে। বৃষ্টিতে একটু ক্ষতি হলেও গাছের গোড়ায় রস থাকায় আমের গুটি দাঁড়াতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে বেপারীরা মুকুল ও গুটি দেখে আম হওয়ার আগেই ৩০ হাজার টাকা বিক্রি করে দিয়েছি।'

সাতক্ষীরা সদরের আমচাষি আব্দুল জলিল জানান, 'আমার বাগানে সব হিমসাগর আম গাছ। গত বছর আমি মণপ্রতি ২২০০ টাকা আম বিক্রি করেছি। তবে এবার উৎপাদন উপকরণের দাম অনেক বেড়ে গেছে, যা নিয়ে আমি চিন্তিত। স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে আমি প্রশিক্ষণ নিয়েছি এবং তাদের পরামর্শে আমি গাছগুলো পরিচর্যা করছি।'

সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মনির হোসেন বলেন, 'আগাম বৃষ্টির জন্য আমের কিছুটা ক্ষতি হবে। তবে আমরা আম উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। প্রতিটি বাগান মালিককে আমরা প্রশিক্ষণ দিয়েছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে আমরা ৪০০ মেট্রি টন আম বিদেশে রপ্তানি করতে পারব।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে