বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরেছে হাওড়ের বোরো জমিতে। বোরো মৌসুমে উপযোগী সময়ে বৃষ্টিপাত ফসলের জন্য সুফল নিয়ে আসলেও বৃষ্টির কারণে সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার দুইদিন বন্ধ ছিল ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ।
সরকার নির্ধারিত ২৮ ফেব্রম্নয়ারির মধ্যে হাওড়ের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ হতে আর বাকি মাত্র দুইদিন। এবারও সময় মতো বাঁধের কাজ শেষ না হওয়া নিয়ে শঙ্কায় কৃষকরা। তাছাড়া বৃষ্টিপাতের কারণে নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ফসলের সুরক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তা বেড়েছে কৃষকদের মধ্যে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহের শেষ দুইদিন বৃহস্পতি ও শুক্রবার বৃষ্টির কারণে সারা জেলার মতো মধ্যনগরেও চলমান ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজ সাময়িক বন্ধ ছিল। এদিকে শনিবার দিনে কাজ শুরু করলেও রাতে এবং রোববার দিনেও গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হয়। এতে আবারো বাঁধের কাজ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়।
বৃষ্টিতে বাঁধ এলাকা কর্দমাক্ত হওয়ায় চলাচল করতে পারছে না মাটি বহনকারী ড্রাম ট্রাক। তাছাড়া চালানো যাচ্ছে না মাটি কাটার মেশিন। আবহাওয়ার প্রতিকূল পরিবেশের কারণে থেমে থেমে চলছে বাঁধের নির্মাণ কাজ।
যদিও জেলা পাউবো'র পক্ষ থেকে কাজের অগ্রগতি ৮০ ভাগ দাবি করা হয়েছে। কিন্তু মাঠপর্যায়ের কৃষক বলছেন- নির্ধারিত ২৮ ফেব্রম্নয়ারির মধ্যে শেষ হতে পারে ৬০ ভাগ কাজ। তাই ফসলের সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত হাওড়ের মানুষজন।
উপজেলার ঘোরাডুবা হাওড় পাড়ের কৃষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, 'সরকার বাঁধের কাজের জন্য বরাদ্দ ও সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। কিন্তু এখনো কাজ শেষ হয়নি। বৃষ্টিতে সুমেশ্বরী নদীতে পানি বাড়ছে। যদি এভাবে বৃষ্টি হতে থাকে তাহলে আমাদের জন্য খারাপ সময় অপেক্ষা করছে।'
আরেক কৃষক আব্দুল খালেক বলেন, ঘোরাডুবা হাওড় রক্ষা বাঁধের কায়েতকান্দা ক্লোজারের মাটি ধসে গেছে। মধ্যনগর পাউবো'র উপ-সহকারী প্রকৌশলী নুর আলম বলেন, গত দুইদিন বৃষ্টির কারণে সারা জেলার বাঁধের কাজ বন্ধ ছিল। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।
জেলা পাউবো'র নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, 'গত কয়েকদিনে বৃষ্টির কারণে বাঁধের কাজ কাজ বন্ধ রয়েছে। তবে ২৮ ফেব্রম্নয়ারির মধ্যে কাজ শেষ হবে কিনা এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি।'