নাব্য সংকট ও জোয়ার ভাটার কারণে প্রায় সময় বন্ধ রাখতে হচ্ছে কাপ্তাই উপজেলাধীন কর্ণফুলী নদীর চন্দ্রঘোনা ফেরি চলাচল। এতে দীর্ঘ সময়ের জন্য খাগড়াছড়ি এবং রাঙামাটির রাজস্থলী, চট্টগ্রাম ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়। ফলে বিভিন্ন স্থান থেকে সড়ক পথে ফেরিযোগে পার হতে আসা শত শত যানবাহন চালক এবং যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। নাব্য সংকটে প্রায়ই এমন পরিস্থিতির শিকার হতে হচ্ছে এই সড়কে চলাচলকারীদের। এতে করে সময় যেমন অপচয় হচ্ছে তেমনই চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন ভুক্তভোগীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২০ ফেব্রম্নয়ারি রাত প্রায় ১০টার পর থেকে ২১ ফেব্রম্নয়ারি সকাল ১০টা পর্যন্ত বন্ধ ছিল ফেরি চলাচল। বন্ধের কারণ জানতে চাইলে ফেরির দায়িত্বরত কর্মচারী এবং স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, কর্নফুলী নদীতে ভাটার সময় পানি এত কমে যায় যে, নাব্য সংকটে নদীর বুকে জেগে ওঠে বালুর চর। তখন ফেরি চলাচল বাধাগ্রস্থ হয়। ফেরির মোটরের পাখা বালুরচরে আটকা পড়ে। তাই বন্ধ রাখতে হয় ফেরি পারাপার। তবে যখন নদীতে জোয়ারে পানির পরিমাণ বাড়ে তখন ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এদিকে, দীর্ঘক্ষণ ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় নদীর দুই প্রান্তে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রী ও চালকরা। এমন দুর্ভোগের চিত্র প্রায় সময় দেখা যায় বলে জানান স্থানীয়রা। কর্ণফুলী পারাপারের অপেক্ষায় থাকা বাস ও অন্য একাধিক যানবাহনের চালক জানান, ফেরি পারাপারে তাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দূর-দূরান্ত থেকে গাড়ি চালিয়ে এসে এই জায়গায় থমকে যেতে হয়। ফলে সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব হয় না।
ঢাকা থেকে আসা বান্দরবানগামী একাধিক যাত্রী জানান, একমাত্র এই ফেরির দুর্ভোগের কারণে অনেক সময় বান্দরবান যাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। ফেরি চলাচল বন্ধ, তাই কখন চালু হবে এই অপেক্ষায় না থেকে তাদের বিকল্প সড়ক ব্যবহার করতে হয়। এতে ভাড়াও বেশি গুনতে হয়, আবার সময়ও লাগে প্রচুর।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাঙামাটি জেলা সড়ক ও জনপদের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, কর্ণফুলী নদীতে নাব্য সংকটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখতে হয়। এ সময় কিছুটা দুর্ভোগে পড়তে হয় যাত্রী ও চালকদের। তবে ড্রেজিংয়ের পরিকল্পনা রয়েছে। ড্রেজিং হলে নাব্য সংকট দূর হবে। এছাড়া অতি জরুরি কাজে তিনি যাত্রী এবং চালকদের ফেরি চলাচল বন্ধকালীন সময়ে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন।