এসএসসি পরীক্ষায় গণিত প্রশ্ন ফাঁস তিন শিক্ষকসহ চারজন আটক
প্রকাশ | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
স্বদেশ ডেস্ক
চলতি বছরের এসএসসি গত রোববার অনুষ্ঠিত গণিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করার অভিযোগ উঠেছে চার শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে কুমিলস্নার চৌদ্দগ্রাম ও গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে তিন শিক্ষকসহ চারজনকে আটক করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত-
চৌদ্দগ্রাম (কুমিলস্না) প্রতিনিধি জানান, কুমিলস্নার চৌদ্দগ্রামে এসএসসি গণিত পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে শিক্ষকসহ ২ জনকে আটক করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার সকালে উপজেলার মুন্সিরহাট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে। বিকালে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান। আটকরা হলেন- ফেলনা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহাদাত হোসেন ও উনকোট উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী সুখরঞ্জন দাস।
ইউএনও জেপি দেওয়ান বলেন, 'রোববার এসএসসি গণিত পরীক্ষা চলাকালীন মুন্সিরহাট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের পাশের মার্কেটে একটি চক্র গণিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছে- এমন খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ওই মার্কেটে অভিযান চালিয়ে শাহাদাত হোসেন ও সুখরঞ্জন দাস নামে দুইজনকে আটক করি। তাদের কাছ থেকে গণিত প্রশ্ন পাওয়া যায় এবং স্মার্টফোনের মাধ্যমে গণিতের উত্তরপত্রের সমাধানগুলো শিক্ষার্থীদের সরবরাহ করছিলেন তারা। এ সময় আমরা তাদের হেফাজত থেকে দুটি স্মার্টফোন ও একটি গণিত গাইডবই জব্দ করি। আটকরা প্রশ্নপত্র ফাঁসের কথা স্বীকার করেছেন।'
চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি ত্রিনাথ সাহা বলেন, 'মুন্সিরহাট উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রের পাশের একটি ভবন থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে আটক করে আমাদের হাতে সোপর্দ করেছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন মহল যেদিক-নির্দেশনা দেবেন, আমরা সেভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেব।'
গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি জানান, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে চলমান এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অপরাধে দুই শিক্ষককে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। গত রোববার অনুষ্ঠিত এসএসসির গণিত বিষয়ে পরীক্ষা চলাকালে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বিদ্যাকোষ স্কুল থেকে ওই স্কুলের দুই শিক্ষককে মোবাইল ফোন ও ডিভাইসসহ হাতেনাতে আটক করা হয়। আটকরা হলেন- কামারদহ গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে শামিম ইসলাম (২১) ও দরবস্ত ইউনিয়নের রহলা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে লিখন মিয়া (২১)।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে স্কুলটি ভালো ফলাফলের আশ্বাস দিয়ে অভিভাবকদের প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে প্রশ্ন ফাঁসের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের ভালো ফলাফল দেখিয়ে আসছিল। গত রোববার গণিত বিষয়ে পরীক্ষা চলাকালে তাদের নিজ বিদ্যালয়ে বসে মোবাইল ফোন ডিভাইসের মাধ্যমে একই কাজ করার সময় আটক হন দুইজন।
বিদ্যাকোষ স্কুলের পরিচালক সোহেল রানা বলেন, 'পরীক্ষার সময় আমার শিক্ষকরা ছাত্রছাত্রীদের সহযোগিতা করছিল। এ সময় তাদের আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়।'
এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি সামসুল আলম শাহ্ বলেন, দুই শিক্ষককে আদালতের ম্যাধমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।