মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

দুর্গাপুরে নিষ্কাশনের অভাবে সামান্য বৃষ্টিতেই ডুবছে এলাকা

ভোগান্তিতে পথচারী ও এলাকাবাসী
দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
  ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় আঞ্চলিক সড়কে জলাবদ্ধতা -যাযাদি

নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায় প্রায় হাঁটু পর্যন্ত। কাদাযুক্ত পানি মাড়িয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে লোকজন ও যানবাহনকে। সড়কের এই চিত্র নেত্রকোনার দুর্গাপুর-শ্যামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের দুর্গাপুর পৌর শহরের দক্ষিণপাড়া মোড় এলাকার। এই জলাবদ্ধতার কারণে ব্যাপক জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয়রা বলছেন, নতুন সড়ক তৈরির সময় এই সড়কের সঙ্গে পুরাতন সড়কের সংযোগ অংশের মধ্যকার গ্যাপ ও পানি যাতায়াতের পথ না থাকায় এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে অল্প বৃষ্টি হলেও সব সময়ই জলাবদ্ধতা থাকে। এতে করে প্রায় শহরের হাজারো যানবাহন ও লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াতে পড়তে হয় চরম বিড়ম্বনায়।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, পানি নিষ্কাশনের জায়গা না থাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে। সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

এছাড়াও এই সড়কের প্রায় ৩ কিলোমিটারের বিভিন্ন স্থানে তৈরি হয়েছে গর্ত ও খানাখন্দ। ফলে এই সড়ক দিয়ে চলাচলের সময় এসব গর্ত ও খানাখন্দে জমে থাকা কর্দামক্ত পানিতে নষ্ট হচ্ছে পথচারীদের জামাকাপড়। কখনো অটোরিকশা উল্টে যাচ্ছে, কখনোবা যাত্রীসহ এই পানিতে পড়ছে ছোট-বড় যানবাহন।

২০১৭ সালে দুর্গাপুর-শ্যামগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় ৩৬ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু হয় যা শেষ হয় ২০১৯ সালের মাঝামাঝিতে। পুরো সড়ক নির্মাণে খরচ হয় ৩১৬ কোটি টাকা। তবে নির্মাণের কয়েক বছর যেতে না যেতেই ভেজা বালু, ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত বালু পরিবহণে সড়কটির বিভিন্ন স্থানে তৈরি হয় খানাখন্দের। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে গত বছর বিভিন্ন স্থান ও সোমেশ্বরী নদীর ব্রিজ সংস্কার কাজ করে নেত্রকোনার সড়ক ও জনপদ বিভাগ। এর মধ্য দিয়ে ৩১৬ কোটি টাকার এই সড়ক ৪শ' কোটি টাকা ছাড়ায়। এরপরও চলাচলে আজো দুর্ভোগ কমেনি।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সামান্য বৃষ্টি হলেই পৌর শহরের দক্ষিণপাড়া এলাকার এই স্থানটিতে পানি জমে। সেই পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না রাখায় পানি জমে ডোবায় পরিণত হয়। প্রতিদিন এ সড়কে হাজারো যানবাহন চলাচল করে। পানি জমে থাকার কারণে যাত্রী ও চালকদের ভোগান্তি হচ্ছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী আব্দুল বারেক বলেন, 'পৌরসভায় প্রবেশপথ এটা, আর এখানেই জলাবদ্ধতা থাকে। প্রশাসন সবসময়ই এই জলাবদ্ধতার ওপর দিয়ে চলাচল করলেও তাদের তো আর সমস্যা হয় না। তারা গাড়িতে করে চলাচল করে। তবে আমাদের এই কষ্ট এবং সমস্যা সমাধানে কেউ কাজ করে না।'

এ বিষয়ে দুর্গাপুর পৌর মেয়র আব্দুস সালাম জানান, একাধিকবার বিষয়টি সড়ক ও জনপদ বিভাগকে জানানো হয়েছে। তারা ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।

জানতে চাইলে নেত্রকোনা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ আল নূর সালেহীন বলেন, 'আমাদের লোকজন স্থানটি দেখে এসেছেন। পানি নিষ্কাশনের জায়গা না থাকায় বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। জলবদ্ধতার বিষয়টি সমাধানের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে