রাজস্থলী সদর হাসপাতালের জায়গা বেদখল!

প্রকাশ | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

রাজস্থলী (রাঙামাটি) প্রতিনিধি
রাঙামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার একমাত্র হাসপাতালের সরকারি জায়গা দীর্ঘদিন ধরে কিছু স্বার্থন্বেষী মহল অবৈধভাবে দখল করে আসছে। উৎচ্ছেদ ও উদ্ধারের প্রশাসন নির্বিকার। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসলে ইতোপূর্বে উপজেলা চেয়ারম্যান উবাচ মারমা ও নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ ছাদেক থানার ওসি মফজল আহম্মদ খান, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রুহলা অং মারমাসহ সবাই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন করে হাসপাতালের রেকর্ড অনুযায়ী পরিমাপ করার পর দখলকারী আরও শক্তভাবে ঘরবাড়ি ও পুকুর দখল করে বহিরাগতের ভাড়া দিয়ে আসছে। বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার আলোচনা সমালোচনা হলেও অজ্ঞাত কারণে তা ঝিমিয়ে থাকে। সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পশ্চিম সাইট সেনাবাহিনীর ক্যাম্পসংলগ্ন রাজস্থলী হাসপাতালের নামীয় প্রায় এক একর ৯০ শতাংশ জায়গা স্থিতি আছে, যার আনুমানিক মূল্য ২ কোটি টাকার ওপরে। সে জায়গার ওপর কিছু দখলকারী লোক অবৈধভাবে ঘর নির্মাণ করে প্রভাব খাটিয়ে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ইউএসএফ পিও ডা. রুইহলাঅং মারমা বলেন, 'হাসপাতালের নামে প্রায় এক একর ৯০ শতাংশ জায়গা বন্দোবস্তি আছে। সে জায়গায় কিছু ব্যক্তি অবৈধভাবে সেমি পাকা ঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছে। তাদের কে উঠে যাওয়ার জন্য অনেক বার তাগিদ দেওয়ার পর তারা কোনো কর্ণপাত করছে না। আমি প্রশাসনের কাছে জানানোর পর প্রশাসন সরেজমিনে এসে বিস্তারিত দেখে গেছেন এবং কয়েকবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সার্ভেয়ার দিয়ে পরিমাপ করার পর দখলকারীদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেও তার কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি বরং আরও শক্ত করে দখল করে আছে।' দখলের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এইচ ইরফান উদ্দিনকে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা সভায় উপস্থাপন করা হলে তিনি জানান, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আইনের মাধ্যমে তাদেরকে উচ্ছেদ করা হবে। যদি তারা সরে না যায় তাহলে আদালতের মাধ্যমে ১৪৪ ধারা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। এ ব্যাপারে হেডম্যান উথিনসিন মারমা বলেন, 'আমি কোন জায়গা কারোর কাছে বিক্রি করিনি। হাসপাতালের জায়গা হাসপাতালের নামে আছে। সুতরাং তারা অবৈধভাবে ঘর উঠিয়ে জায়গা দখল করে আছে।' এ ব্যাপারে দখলকারীদের সঙ্গে আলাপকালে তারা স্বীকার করে বলেন, 'আমরা হাসপাতালের জায়গাতে ঘর বেঁধে আছি। সরকার চাইলে আমরা দিয়ে দেব।' ফলে হাসপাতালের জায়গা থেকে তাদের কে উচ্ছেদ করা না হলে অদূর ভবিষৎ সরকারি সম্পদ রক্ষা করা কঠিন হবে। সরকারি সম্পদ লুটেপুটে খাওয়া নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজস্থলী উপজেলায়। আসলে কি দেখার কেউ নেই। তাই দ্রম্নত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য এলাকাবাসী প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।