কুমিলস্নার চান্দিনায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে আবুল হাসেম (৫৫) এক আওয়ামী লীগ নেতাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কারাগারে যাওয়া আবুল হাসেম জেলার চান্দিনা উপজেলার বরকইট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। তিনি ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। গত মঙ্গলবার তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে তোলা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চান্দিনা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ সনজুর মোরশেদ।
পুলিশ জানায়, গত ১০ ফেব্রম্নয়ারি এনামুল হক নামের এক পরোয়ানাভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করতে তার বাড়িতে যান চান্দিনা থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নোমান সঙ্গীয় ফোর্স। এনামুলকে গ্রেপ্তার করার সময় আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হাসেমের নেতৃত্বে স্থানীয় ৩০-৪০ জন দুর্বৃত্ত দা, ছেনি, রাম দা, বটি দা, শাবলসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এ সময় মো. খলিল নামের একজন তার হাতে থাকা লোহার শাবল দিয়ে এসআই নোমান হোসেনের মাথায় আঘাত করেন। পাশাপাশি এনামুলের হাতে থাকা গাছের লাঠি দিয়ে এসআই নোমানে মাথায় আঘাত করা হয়। এ ঘটনায় নোমান ও তার সঙ্গে থাকা সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে ভর্তি করে। পরে চান্দিনা থানা থেকে আরেকটি টিম ঘটনাস্থলে গেলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় চান্দিনা থানা পুলিশের উপপরিদর্শক সুজন দত্ত বাদি হয়ে চান্দিনা থানায় একটি হত্যা চেষ্টার মামলা করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় এনামুল হককে। এ ছাড়াও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হাসেমকে দুই নম্বর আসামি করা হয়। তিনি ছাড়াও এ মামলায় মোট আসামি ১৮ জন। ওই মামলায় দুই নম্বর আসামি আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হাসেমকে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ওসি সনজুর মোরশেদ বলেন, পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এক আসামিকে ধরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। বাকি আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলমান রয়েছে।