পঞ্চগড়ের হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে অপারেশন কার্যক্রম
প্রকাশ | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ে সিভিল সার্জনের নিজ উদ্যোগ ও স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় উপজেলা হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে অপারেশন কার্যক্রম। সব ধরনের সুযোগ সুবিধা থাকলেও শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক না থাকায় এসব হাসপাতালে অপারেশন কার্যক্রম এক প্রকার বন্ধই ছিল। গত বছরের শুরুর সাত মাস জেলা সদর বাদে অপর চার উপজেলা হাসপাতালে একটি অপারেশনও হয়নি। সেখানে ডা. মোস্তফা জামান চৌধুরী পঞ্চগড়ে সিভিল সার্জন হিসেবে যোগদানের পর থেকে নিজ উদ্যোগে গত বছরের পরের পাঁচ মাস এবং গত জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ছয় মাসে সিজারিয়ানসহ সর্বমোট ১৫৬টি অপারেশন হয়েছে। এতে করে স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতি যেমন সাধারণ মানুষের আস্থা বেড়েছে তেমনি সেবা গ্রহীতাদের অর্থ সাশ্রয় হয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়মিত অপারেশন কার্যক্রম পরিচালনা করা হলেও গত বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত জেলার অন্য চার উপজেলা আটোয়ারি, বোদা, দেবীগঞ্জ ও তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে একটি অপাশেনও করা হয়নি। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে এসব উপজেলা হাসপাতালে সার্জারি চিকিৎসক নেই। যদিও অপারেশন করার মতো সব সুযোগ সুবিধা রয়েছে এসব হাসপাতালে। গত বছরের ১৩ জুলাই পঞ্চগড়ে সিভিল সার্জন হিসেবে যোগদান করেন ডা. মোস্তফা জামান চৌধুরী। এরপর উপজেলা হাসপাতালগুলোতে সিজারিয়ানসহ জেনারেল মেজর সার্জারি চালু করার উদ্যোগ নেন। তিনি নিজে উপজেলা হাসপাতালগুলোতে উপস্থিত থেকে স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় শুরু করেন অপারেশন কার্যক্রম। গত বছরের আগস্ট থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত এসব হাসপাতালে ১১৪টি গাইনি মেজর সার্জারি (সিজারিয়ান) অপারেশন হয়। এ ছাড়া জেনারেল মেজর সার্জারি হিসেবে এই সময়ের মধ্যে হার্নিয়া, হাইড্রোসিল, লাইপোমা, অ্যাবডোমিনাল টিউমার, গলবস্নাডার, পাইলস, সিবাসিয়াস সিস্ট ও ব্রেস্ট এবসেসের ৪২টি অপারেশন হয়।
সিভিল সার্জন ডা. মোস্তফা জামান চৌধুরী বলেন, দেশের অন্য জেলার চেয়ে পঞ্চগড় স্বাস্থ্য সেবার দিক থেকে অনেকটা পিছিয়ে ছিল। এর মূল কারণ এখানকার চিকিৎসকসহ জনবল সংকট। এখনও সেই সংকট রয়েছে। আধুনিক সদর হাসপাতালে সার্জারিসহ অন্য চিকিৎসক থাকায় নিয়মিত অপারেশন কার্যক্রম হচ্ছে। তবে সার্জারি চিকিৎসক না থাকায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সগুলোতে অপারেশন অনেকটাই বন্ধ ছিল। ব্যবহার না হওয়ায় অপারেশন থিয়েটারগুলোও পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। এতে করে গাইনি মেজর সার্জারি (সিজারিয়ান) ও জেনারেল মেজর সার্জারি করার জন্য মানুষ বেসরকারি ক্লিনিকের দারস্থ হতো। ফলে খরচ অনেক যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হতো পরিবারগুলো। এসব বিবেচনায় আমি পঞ্চগড়ে যোগদানের পর উপজেলা হাসপাতালগুলোতে অপারেশন কার্যক্রম শুরু করেছি। আগামীতে এসব হাসপাতালে অপারেশনের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।