দুর্গন্ধে জনজীবন অতিষ্ঠ

দাগনভূঞায় সড়কের উপর পৌরসভার ময়লার স্তূপ

প্রকাশ | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

ফেনী ও দাগনভুঞা প্রতিনিধি
ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের উপর ফেলা হচ্ছে দাগনভূঞা পৌরসভার ময়লা। এর ফলে ওই সড়কে তৈরি হয়েছে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। দুর্গন্ধের কারণে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। যেন দেখার কি কেউ নেই। দাগনভূঞা পৌরসভার একমাত্র বাজার দাগনভূঞা বাজার, বাজারের ময়লার ভাগাড়ের কারণে সৃষ্টি হচ্ছে দুর্গন্ধ। এতে করে দোকানি, ক্রেতা, পথচারী, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ নাকাল হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে বেড়েছে মশা, মাছির উপদ্রব। পৌরবাসীর মধ্যে রয়েছে ডেঙ্গুর ঝুঁকি। ময়লা আবর্জনার স্তূপে ইতোমধ্যে মহাসড়ক ও এর পাশে খালের পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। আশপাশের বসবাসকারী লোকজন মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে এবং অনেক কৃষি জমিতে আবাদ করা যাচ্ছে না। দাগনভুঞা পৌরসভার বাসাবাড়ি ও দোকানের ময়লা আবর্জনা ড্রামপিং করার নির্দিষ্ট জায়গা না পাওয়ায় বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন জায়গা ডাম্পিং করা হচ্ছে। এর ফলে দুর্গন্ধের কারণে লোকজন প্রতিবাদ করেও কোনো ফল মিলছে না। বর্তমানে ময়লার ডাম্পিং করেছে পলস্নী বিদু্যতের অফিস সংলগ্ন আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে। সেখানে পৌরসভার ময়লার কারণে ভরাট হয়ে যাচ্ছে খাল। ময়লার গন্ধে আশপাশের মানুষের বসবাস করতে কষ্ট হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাড়ির মালিক জানান, ময়লার দুর্গন্ধে বাড়িতে থাকা যায় না। মশা মাছির উপদ্রব বেড়ে গেছে। আমি অসুস্থ মানুষ। ময়লার গন্ধে শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেছে। আমরা পৌরসভার মেয়রের কাছে অনেক অনুরোধ করেছি এখানে ময়লা না ফেলতে। তবুও পৌর কর্তৃপক্ষ ময়লা ফেলছে। আতাতুর্ক স্কুল মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান, পৌর কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনার কারণে এসব হচ্ছে। স্থানীয় কৃষক আলমগীর মিয়া জানান, কৃষির স্বার্থে এখান থেকে ময়লা সরানো উচিত। কারণ ময়লার কারণে খাল ভরাট হয়ে যাচ্ছে। সামনের বর্ষার আগে না সরানো হলে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়ে কৃষি ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই ময়লার স্তূপ অতি দ্রম্নত অপসারণ করা দরকার। গণমাধ্যমকর্মী শহিদুল ইসলাম ইমরান বলেন, এভাবে ময়লা রাখার সড়ক আইন, পরিবেশ আইন, স্বাস্থ্য আইনসহ সব আইনের লঙ্ঘন। দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ময়লার দুর্গন্ধে স্বাস্থ্যঝুঁকি, ডেঙ্গু, কলেরা, শ্বাসকষ্ট ও বিভিন্ন চর্মরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে। ইতোমধ্যে দাগনভূঞাতে অনেক ডেঙ্গু রোগী বেড়ে গেছে। ডেঙ্গু যাতে ভয়াবহ বিস্তার করতে না পারে এই ব্যাপারে সচেতন থাকা জরুরি। দাগনভূঞা পৌর মেয়র ওমর ফারুক খান জানান, 'জায়গার অভাবে পৌর এলাকার ময়লাগুলো ডাম্পিং করা যায়নি। আমার নিজস্ব অর্থায়নে জায়গা কিনেছি। এ বছরের মধ্যে আমরা ময়লা ডাম্পিং কাজ শেষ করতে পারব।'