বগুড়ার ধুনটে সেচ পাম্পের লাইসেন্স পাওয়ার পরও বিদু্যৎ সংযোগ না পাওয়ায় জমি চাষাবাদ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। গত মঙ্গলবার বিকালে ধুনট মডেল প্রেস ক্লাবে লিখিত সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন কালেরপাড়া ইউনিয়নের উত্তর কান্তনগর গ্রামের জোনাব আলীর ছেলে কৃষক আব্দুল মোত্তালেব।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কৃষক আব্দুল মোত্তালেব বলেন, কান্তনগর মৌজায় আমাদের পৈতৃক ৩০ বিঘা জমি এবং অন্য কৃষকদের আরও ২০ বিঘা জমিতে শ্যালো মেশিনের মাধ্যমে সেচ দিয়ে চাষাবাদ করে আসছেন। এতে ফসলের উৎপাদন খরচ আরও বেড়ে গেছে। এ কারণে তার জমিতে নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনে বৈদু্যতিক সেচ পাম্প স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) থেকে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেন।
তিনি আরও জানান, পরবর্তীতে ধুনট উপজেলা সেচ কমিটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের পর ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর কমিটির সভাপতি তৎকালীন ইউএনও সঞ্জয় মোহন্ত ও বিএডিসি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত সেচ পাম্প স্থাপনের লাইসেন্স প্রদান করেন। এরপর বিধি মোতাবেক আমার জমিতে ঘর ও বোরিং নির্মাণ করে বিদু্যৎ সংযোগের জন্য পলস্নী বিদু্যৎ অফিসে জামানত প্রদান করেন তিনি।
কিন্তু পূর্ব শত্রম্নতার জের ধরে একই গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে মঞ্জুরুল ইসলাম তার সেচ পাম্পে বিদু্যৎ সংযোগ প্রদানে বাধা প্রদানসহ বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ দিয়ে তাকে হয়রানি করে আসছে। তাদের এই হয়রানির কারণে পলস্নী বিদু্যৎ সংযোগ প্রদান স্থগিত রেখেছে। দীর্ঘদিনেও সেচ পাম্পে বিদু্যৎ সংযোগ না পাওয়ায় প্রায় ৫০ বিঘা জমিতে চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। তাই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতিপক্ষের হয়রানির প্রতিবাদ ও দ্রম্নত বিদু্যৎ সংযোগ প্রদান করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।