কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় এ বছর ১৫৯০ হেক্টর জমিতে গমের চাষ হয়েছে। গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। গমের ফলনে কৃষকের মুখে হাসি। কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় গম চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। আবহাওয়া অনুকূলে ও আধুনিক প্রযুক্তিতে কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টি হওয়ায় স্বল্প খরচে যথা সময়ে কৃষকরা এবার গমের ফলন পাবে বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ। জানা যায়, ইতিপূর্বে দেখা দেয় বস্নাস্ট রোগ। সে সময় গম আবাদে নিষেধাজ্ঞা ছিল। এরপরেও কয়েকজন কৃষক নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গম চাষ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কৃষকরা প্রায় মুখ ফিরিয়ে নেয়, এ গম চাষ থেকে। পরে এসব গম চাষের জমি দখল করে নেয় বিষবৃক্ষ তামাক। গত কয়েক বছর কৃষি অফিসের পরামর্শে আবারো গম চাষ করছেন কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গমের ফলন ভালো হয়েছে। তবে এ বছর কোথাও বস্নাস্টের আক্রমণ দেখা দেয়নি। কৃষকরা তামাক চাষের পরিবর্তে আবার গম চাষ শুরু করেন। কিন্তু এ বছর চিত্রটা পাল্টে গেছে। বিগত দিনের মতো চাষিরা ঝুঁকেছেন গম চাষে। কৃষি বিভাগের পরামর্শে তারা গম চাষ করে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ফলন ভালো হয়েছে। কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, আমি এবার তিন বিঘা জমিতে বারি গম-২৮ এবং বারি গম-৩০ জাতের গম চাষ করেছি। অন্যান্য বছরের তুলনায় গম খুব ভালো হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে ও আধুনিক প্রযুক্তিতে আগ্রহ বেড়েছে। কৃষক মাহাবুল আলম বলেন, গত বছর আমার জমিতে তামাক ছিল। এবার কৃষি অফিসের পরামর্শে আমি চার বিঘা জমিতে গম চাষ করেছি। খুব ভালো হয়েছে। এবার কোনো রোগও হয়নি। ভেড়ামারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদা সুলতানা জানান, ভেড়ামারা উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১৫৮০ হেক্টর জমিতে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। গম চাষ হয়েছে ১৫৯০ হেক্টর জমিতে। ফলে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। গম চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। তারা পুনরায় গম চাষ করছেন। এ অঞ্চলের মাটি গম চাষের জন্য উপযুক্ত। আমরা কৃষকদের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ও জাতের গম চাষের জন্য পরামর্শ দিচ্ছি। বিনামূল্যে চাষিদের মাঝে প্রণোদনার বীজ-সার বিতরণ করা হয়েছে।