হাওড়ে বুক ছিঁড়ে সবুজে ছেয়ে গেছে বোরো ফসলের মাঠ। বসন্ত বাতাসে বোরো ধান গাছ সবুজে সমারোহ ঢেউ খেলছে হাওড়জুড়ে। সেই ঢেউয়ে কৃষক-কৃষানির মন আনন্দে ভরে চোখে বুনছে রঙিন স্বপ্ন।
আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১৪ হাজার ৬৩৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। কৃষকের নিবিড় পরিচর্যা, যথাসময়ে জমিতে সার ও কীটনাশক প্রয়োগ ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষক ও উপজেলা কৃষি বিভাগ। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ১৪ হাজার ৬৩৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছেন। তার মধ্যে উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড, উফশী ও দেশীয় প্রজাতির ধানের চাষ করা হয়েছে। গতবারের তুলনায় এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে বোরোর চাষ করেছেন কৃষকেরা। সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা যায়, সবুজের সমারোহে ভরে আছে ফসলের মাঠ। বসন্ত বাতাসে উঠেছে সবুজের ঢেউ। সোনালি ধান ফলানোর জন্য মাঠে নিরন্তর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন কৃষক। ভোরের আলো ফোটার পরই কৃষকরা কোমর বেঁধে ফসলের মাঠে যাচ্ছেন। জমিতে করছে পরিচর্যা, কোথাও দেওয়া হচ্ছে পানির সেচ। আলাপকালে ১ নম্বর সদর ইউনিয়নের কৃষক মো. সমর আলী বলেন, তিনি এ বছর দুই একর জমিতে উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড জাতের বোরো ধান আবাদ করেছেন। শুরু থেকে সার কীটনাশক প্রয়োগসহ সঠিক পরিচর্যা করেছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে না পড়লে এবার বাম্পার ফলনের আশাবাদী তারা। আরও অনেকের সাথে আলাপকালে তারা বলেন, এ বছর জ্বালানি তৈলে, সার ও কীটনাশকের মূল্য বেশি হওয়ায় জমিতে খরচও বেশি হচ্ছে। ধান পাকার পর তা নিরাপদে ঘরে তুলতে পারলেই লাভবান হবেন বলে আশা এসব কৃষকের। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফে আল মুঈজ হাবিব বলেন, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বোরো ধানে বাম্পার ফলন হবে বলে আশাবাদী তিনি। সামনে প্রাকৃতিক বিপর্যয় না ঘটলে সোনালি ধানে হাসি ফুটবে কৃষকের মুখে।