টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের সামনে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে বেসরকারি ক্লিনিক, ডায়গনস্টিক সেন্টার। রোগ নিয়ে নানা বিড়ম্বনার স্বীকার হচ্ছে সাধারণ রোগীরা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে প্রায় পাঁচ লাখ লোকের একমাত্র চিকিৎসা কেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্স। অথচ এই সরকারি স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের আশপাশে দেদার গড়ে উঠেছে প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়গনস্টিক সেন্টার এবং কর্তৃপক্ষ তার নৈতিক দায়িত্ব পালন না করায় হাসপাতালের পেটের ভেতর মূল ফটক ঘেঁষে নতুন করে গড়ে উঠছে বেসরকারি ক্লিনিক।
এ সব প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিকগুলোর মধ্যে রয়েছে, আলোক হেলথকেয়ার লি., হাজী খোরশেদ মেমোরিয়াল হাসপাতাল, জনতা হাসপাতাল, ডিজিটাক ক্লিনিক এন্ড নার্সিং হোমে, প্রাইম হাসপাতাল, মা হাসপাতাল, আলোক ফাউন্ডেশন হাসপাতাল, টপটেন স্পেশালাইজড হসপিটাল, কমফোট হাসপাতাল, আল মদিনা ক্লিনিক, হাজী ফিজিও থেরাপি সেন্টার, হাজী ডায়গনস্টিক সেন্টার, মোন্নাফ আধুনিক ফিজিও থেরাপি সেন্টার, ঘাটাইল হিয়ারিং সেন্টারসহ পাঁচশ' গজের বাইরে রয়েছে মেডিকেয়ার ক্লিনিক এন্ড নার্সিং হোম, মুন জেনারেল হসপিটালসহ আরও অনেক।
জানা যায়, এ সব বেসরকারি হাসপাতালের নামে-বেনামে জড়িত রয়েছেন সরকারি হাসপাতালের অনেক নামিদামি ডাক্তার, টেকনিশিয়ান ও কর্মচারী। সরকারি হাসপাতালের কোনো কোনো ডাক্তার, নার্স ও কর্মচারীর গভীর বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। কেউ ব্যবসায় অংশীদার। কেউ কাজ করেন কমিশনে। এদের কারণে অনেক ডাক্তার, নার্স ও কর্মচারীরা অতিষ্ঠ।
যদিও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ম অনুযায়ী সরকারি হাসপাতালে এক কি.মি. আশপাশে কোনো প্রকার ক্লিনিক বেসরকারি হাসপাতাল, ডায়গনস্টিক সেন্টার গড়ে উঠতে পারবে না। কিন্তু ঘাটাইল উপজেলায় এই আইন কোনো ভাবেই মানা হচ্ছে না, উল্টো ক্লিনিকের নামে চলছে রমরমা বাণিজ্য। এই বেসরকারি হাসপাতালগুলোর অধিকাংশেরই মালিক ডাক্তার ও স্থানীয় প্রভাবশালীরা। মাসোয়ারা পাওয়ার কারণে চুপ থাকেন হাসপাতালের ডাক্তারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এ সব বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে কর্মকর্তা ডাক্তার আবু নাইম মো. সোহেল বলেন, 'সরকারি হাসপাতাল গড়তে একটা থেকে অন্যটার দূরত্ব তিন কি.মি. তাই জানি। তবে বেসরকারি ক্ষেত্রে আমার আইন জানা নেই।'