মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

চরম জনবল সংকটে রংপুর আঞ্চলিক অফিসের সব জেলা

আবেদুল হাফিজ, রংপুর
  ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
চরম জনবল সংকটে রংপুর আঞ্চলিক অফিসের সব জেলা

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি বিপণন) রংপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ে জনবল সংকট চরমে রয়েছে। এ অঞ্চলের জেলাগুলোতে মঞ্জুরকৃত জনবলের মধ্যে চার ভাগের এক ভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারী দিয়ে কাজ চলছে। বিশেষ করে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সংকট সবচেয়ে বেশি। এতে করে নানাভাবে কাজের বিঘ্ন ঘটছে। অতিরিক্ত চাপে কাজ করতে হিমশিম খাচ্ছেন অনেকেই।

বিএডিসি বিপণন সূত্রে জানা গেছে, রংপুর আঞ্চলিক অফিসে অর্গানোগ্রাম অনুয়ায়ী মঞ্জুরকৃত পদের সংখ্যা ৮৮টি। এর বিপরীতে কর্মরত রয়েছে ২১টি পদে। ফলে শূন্য পদ রয়েছে ৬৯টি। যার মধ্যে প্রথম শ্রেণির ৫ জনের বিপরীতে একটি, দ্বিতীয় শ্রেণির ৮ জনের বিপরীতে দুইটি, তৃতীয় শ্রেণির ২৮ জনের বিপরীতে ১৯টি ও চতুর্থ শ্রেণির ৪৭ জনের বিপরীতে সবকয়টি শূন্য রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী বীজ বিক্রয় কেন্দ্রে আব্দুলস্নাহ আল মামুন নামে এক ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর আগে তিনি ২০০৯ সালে রংপুর বিএডিসির অধিক বীজ কেন্দ্রে কর্মরত ছিলেন। সেখান থেকে তাকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় বদলি করা হয়। পরে ২০১৭ সালে পলাশবাড়ী সংযুক্ত করা হয়। কিন্তু তিনি সেখানে অফিস করেন না। বর্তমানে তিনি বিএডিসি বিপণন রংপুর আঞ্চলিক অফিসে অবস্থান করে থাকেন। এ নিয়ে অনেকের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানিয়েছেন, তিনি তার কর্মস্থলের পরিবর্তে অবৈধভাবে রংপুর আঞ্চলিক অফিসের কাজকর্ম তদারকি ও বাগড়া দিচ্ছেন। এনিয়ে কেউই মুখ খুলতে সাহস পান না। ফলে নানা ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

তারা আরও জানান, উপপরিচালকের সুবিধার্থে ওই কর্মকর্তাকে রংপুর আঞ্চলিক অফিসে আলু বীজ বেচাকেনা দেখভালের জন্য রাখা হয়েছে।

বিএডিসি বীজ বিপণন রংপুর আঞ্চলিক অফিসের উপ-পরিচালক মাসুদ সুলতান জানিয়েছেন, গাইবান্ধার পলাশবাড়ি বীজ বিপণন দপ্তরটিতে থাকার কোনো পরিবেশ নেই। এমনকি বীজ বিক্রয় কেন্দ্রটি জরাজীর্ণের কারণে সেখানে বীজ সংরক্ষণ করা যাচ্ছে না। ওই কেন্দ্রটি সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত তাকে রংপুরের আঞ্চলিক কার্যালয়ে মৌখিকভাবে আনা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে