কিশোরগঞ্জের হাওর অধু্যষিত ইটনা উপজেলায় অবৈধভাবে প্রকাশ্যে ফসলি জমির মাটি কাটার কর্মযজ্ঞ চালাচ্ছে প্রভাবশালী মহল। ফলে ফসলি কৃষিজমি পরিণত হচ্ছে পুকুর-ডোবা ও বাড়িতে। এর ফলে দিন দিন ফসলের উৎপাদন কমছে, বেকার হচ্ছে কৃষক, পরিবেশ হচ্ছে দূষিত। এমনকি গ্রামীণ সড়ক হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত। অন্যদিকে স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে রয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। এদিকে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলছেন, প্রতিবছরই এক ভাগ ফসলি জমি কমছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ইটনা-আমিরগঞ্জ সড়কে পাশাপাশি মৃগা গ্রামসংলগ্ন এক্সকাভেটর দিয়ে আইন অমান্য করে এমনই কর্মকান্ড চলছে। বিশাল বড় জায়গা নিয়ে দেদার চলছে কৃষিজমির মাটি কাটা। এই গ্রামের একাধিক বাসিন্দা জানান, এখানে ফসলি জমি ছিল। এখন মাটি কেটে বাড়ি তৈরি হবে। এতে করে একদিকে জমির শ্রেণি পরিবর্তন, অন্যদিকে সরকারি রাজস্ব কমার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, ফসলি জমিতে মাটি কাটা দিন দিন বেড়ে চলেছে। এর মধ্যে গুরুতর কারণ হচ্ছে স্থানীয় প্রশাসনের নীরব ভূমিকা।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার সাহা বলেন, এভাবে মাটি কাটার কারণে প্রতিবছরই এক ভাগ করে আবাদি জমি কমছে। অভিযোগ পেলে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ইটনার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নাহিদ হোসেন বলেন, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ থাকলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।