সাপাহারে ৫৯ ভুয়া পরীক্ষার্থীর ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি

নওগাঁর সাপাহারে ঘটে যাওয়া ৫৯ জন ভুয়া শিক্ষার্থী শনাক্ত কান্ডে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও রেজিস্ট্রার প্রফেসর মো. সিদ্দিকুর রহমান কর্তৃক স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে। অফিস আদেশে উলেস্নখ করা হয়, ২০২৪ সালের দাখিল পরীক্ষায় নওগাঁ জেলার সাপাহার উপজেলায় সরফতুলস্নাহ ফাজিল মাদ্রাসা ২৯১ নম্বর পরীক্ষা কেন্দ্রে ২০ ফেব্রম্নয়ারি আরবি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা চলছিল। এ সময় কেন্দ্র সচিব কর্তৃক ৫৯ জন ভুয়া পরীক্ষার্থী শনাক্ত করা হয়। যার মধ্যে সাপাহার শিমুলডাঙা দাখিল মাদ্রাসার ১১ জন, মানিকুড়া দাখিল মাদ্রাসার তিনজন, বলদিয়াঘাট মহিলা দাখিল মাদ্রাসার দু'জন, পলাশডাঙা দাখিল মাদ্রাসার আটজন, দেওপাড়া শিংপাড়া দাখিল মাদ্রাসার তিনজন, আলাদিপুর দাখিল মাদ্রাসার একজন, তুলসিপাড়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার ১৪ জন, আন্ধারদীঘি মহিলা দাখিল মাদ্রাসার ১৭ জনসহ মোট আটটি মাদ্রাসার ৫৯ ভুয়া পরীক্ষার্থী শনাক্ত হয়। বিষয়টি সরেজমিনে তদন্তপূর্বক রিপোর্ট প্রদানের জন্য বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের প্রকাশনা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. রিয়াদ চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে তিনজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্য দু'জন সদস্য কর্মকর্তা হলেন- বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (পরীক্ষা) মো. আব্দুস সালাম ও উপ-মাদ্রাসা পরিদর্শক মো. আকরাম হোসেন। উলেস্নখ্য, সাপাহার সরফতুলস্নাহ মাদ্রাসা কেন্দ্রে এ বছর ৪০টি প্রতিষ্ঠানের দাখিল পরীক্ষার্থী ছিল ৭৭৭ জন। মঙ্গলবার সেখানকার ২০টি কক্ষে ৭৫৭ জন পরীক্ষার্থী আরবি দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। সকালে আকস্মিক ওই কেন্দ্র পরিদর্শনে যান ইউএনও। এরপর অ্যাডমিট কার্ডের ছবির সঙ্গে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের মিল না থাকায় ৫৯ জন ভুয়া পরীক্ষার্থীকে আটক করেন। যেখানে ১৫ জন ছাত্র এবং ৪৪ জন ছাত্রী ছিল। পরে তাদের মুচলেকা নিয়ে অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।